বিজ্ঞাপন
উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মাঝেমধ্যেই ছবি যেন ভেসে উঠছে পর্বতমালা কাঞ্চনজঙ্ঘার। স্থানীয় পর্যটন স্পট ডাকবাংলোর পিকনিক কর্ণার ও মহানন্দা নদীর তীর থেকে দর্শনার্থীরা পাহাড়ের দৃশ্য নন্দনে মগ্ন, ছবি তুলছেন এবং ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছেন। তবে কয়েকদিনের মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা মেলেনি, যার কারণে অনেকেই হতাশ হয়ে ফিরেছিলেন।
স্থানীয়রা জানায়, শরৎ, হেমন্ত ও শীতকালে আকাশ পরিষ্কার থাকলে দেখা মেলে কাঞ্চনজঙ্ঘার শরৎশুভ্র সৌন্দর্য। ভোরের আলো মেখে পর্বতশৃঙ্গটি রঙ পাল্টাতে থাকে—ভোরে লাল টকটকে, দুপুরে কমলা ও হলুদ, এবং পরে সাদা। হিমালয়ের বিস্তৃত পাহাড়ে সবুজ ও কালো ছায়া মেখে কাঞ্চনজঙ্ঘা সত্যিই অপরূপ সৌন্দর্যের ধারক।
জানা গেছে, কাঞ্চনজঙ্ঘার উচ্চতা প্রায় ২৮,১৬৯ ফুট (৮,৫৮৬ মিটার)। এটি ভারতের সিকিম রাজ্যের সঙ্গে নেপালের পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তে অবস্থিত। এখান থেকে চারটি নদীর উৎপত্তি ঘটে, যা বাংলাদেশেও প্রবাহিত হয়। কাঞ্চনজঙ্ঘা থেকে এভারেস্ট শৃঙ্গের দূরত্ব নিকটে থাকায় এ অঞ্চল থেকে পর্বতমালার সৌন্দর্য বিশেষভাবে দৃশ্যমান। প্রতি বছর অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত পঞ্চগড়ের বিভিন্ন এলাকা থেকে খালি চোখে পর্যটকরা কাঞ্চনজঙ্ঘার অপার সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন। এছাড়া প্রতিবেশী ভারতের দার্জিলিংয়ের পাহাড়ি অঞ্চলও দেখা যায়।
পঞ্চগড়ে ঘুরতে আসা পর্যটকরা জানান, “কয়েক দিন ধরে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যাচ্ছিল না। এতে আমরা হতাশ হয়েছিলাম। তবে শেষমেশ দেখা পেয়ে খুবই আনন্দিত। এর অনুভূতি বোঝানো দায়, যা চোখের সঙ্গে হৃদয়েও মিশে গেছে।”
এ বিষয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশকে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কলটি রিসিভ হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠেছে, পর্যটকদের জন্য তারা কি সঠিক সেবা প্রদান করছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফরোজ শাহীন খসরু জানান, “পর্যটকদের জন্য সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তারা যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে ভ্রমণ করে আনন্দ উপভোগ করতে পারেন, তার জন্য আমরা সার্বক্ষণিক সচেষ্ট আছি।”
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...