ভোরের বাণী
বিজ্ঞাপন
মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। একইভাবে সব বিভাগের গেটেও ঝুলছে তালা। প্রতিদিন শত শত সেবাপ্রার্থী ফিরে যাচ্ছেন খালি হাতে। আন্দোলনকারীদের মতে, আদালতের রায় থাকা সত্ত্বেও ইশরাক হোসেনকে শপথ নিতে না দেওয়াই এই সংকটের মূল কারণ।
‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন’ ও ‘ঢাকাবাসী’ ব্যানারে চলা এই আন্দোলনে দিনভর চলছে মিছিল, স্লোগান আর প্রতিরোধ। তাদের দাবি, আদালত যখন রায় দিয়েছে এবং নির্বাচন কমিশন গেজেট প্রকাশ করেছে, তখন আর শপথে বাধা দেওয়ার কোনো যুক্তি নেই।
২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। কিন্তু বিএনপি-সমর্থিত ইশরাক হোসেন ফলাফল চ্যালেঞ্জ করে নির্বাচন বাতিলের মামলা করেন। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর ঢাকার নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল সেই ফল বাতিল করে ২০২৫ সালের ২৭ মার্চ ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে।
এরপর ২৭ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন গেজেট প্রকাশ করে তাকে মেয়র ঘোষণা করে। কিন্তু ১৪ মে তার শপথ ঠেকাতে হাইকোর্টে রিট করা হয়। পরবর্তীতে হাইকোর্ট রিট খারিজ করে দিলে আইনগত বাধা সরে যায়।
এই প্রেক্ষাপটে আন্দোলনের নেতা ইশরাক সমর্থক কর্মীরা জানান, হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে শপথ অনুষ্ঠানের উদ্যোগ না নিলে তারা আরও কঠোর কর্মসূচিতে যাবেন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য খোরশেদ আলম বলেন, “দুই দফা আদালতের রায়ে বিজয়ী প্রার্থীকে শপথ নিতে না দেওয়ার মানে প্রশাসনিক ষড়যন্ত্র। আমাদের মেয়র ইশরাক ভাই দায়িত্ব না নেওয়া পর্যন্ত আমরা কাজেও ফিরব না।”
জাহিদুর রহমান নামের আরেক আন্দোলনকারী বলেন, “সেবা বন্ধ থাকলেও দোষ আমাদের নয়। সরকারই ইশরাক ভাইয়ের শপথ আটকে রেখেছে।”
এদিকে সিটি কর্পোরেশনের সেবা কার্যক্রম বন্ধ থাকায় নাগরিক ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। বর্জ্য অপসারণ, জন্মনিবন্ধন, ট্রেড লাইসেন্স, রক্ষণাবেক্ষণসহ সব বিভাগ অচল হয়ে পড়েছে। নাগরিকেরা দ্রুত সমাধান চাচ্ছেন।