ভোরের বাণী
ইসরায়েলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এহুদ ওলমার্ত
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, গাজায় খাদ্য ও ত্রাণ সামগ্রী প্রবেশ বন্ধ রাখা এবং নির্বিচারে সাধারণ মানুষ হত্যা এক ধরনের অপরাধ, যা কোনোভাবেই ন্যায্য নয়।
২০০৬ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী ওলমার্ত সম্প্রতি মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “গত ১১ সপ্তাহ ধরে গাজায় খাদ্য প্রবেশ বন্ধ রাখা হয়েছে। এটি যদি যুদ্ধাপরাধ না হয়, তাহলে যুদ্ধাপরাধ কাকে বলে?”
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের অক্টোবরে হামাসের অতর্কিত হামলার পর থেকেই গাজায় ব্যাপক সামরিক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (IDF)। সে সময় এই অভিযানের প্রতি সমর্থন জানিয়েছিলেন ওলমার্ত নিজেও। তবে ১৯ মাস পর তিনি মত বদলেছেন। তার মতে, এই অভিযানের স্থায়িত্ব এক বছরের বেশি হওয়া উচিত ছিল না।
তিনি আরও বলেন, “এখন আমরা যা করছি, তাকে ধ্বংসযজ্ঞ বলা যায়। এটি সাধারণ মানুষের প্রতি সীমাহীন নিষ্ঠুরতা। এসব হত্যাকাণ্ড ইসরায়েলের কোনো কল্যাণ করছে না, বরং দেশের নৈতিক অবস্থানকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।”
ইসরায়েলি জনগণকে এই সরকার বিদায় করার আহ্বান জানিয়ে ওলমার্ত বলেন, “আমার বিশ্বাস, অধিকাংশ নাগরিক বর্তমান সরকারের নীতিতে বিরক্ত এবং মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। এ সরকার দেশের মূল্যবোধ ধ্বংস করছে।”
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলে প্রবেশ করে ১২০০ জনকে হত্যা এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে। এর পরপরই ইসরায়েল গাজায় হামলা শুরু করে। গত ১৯ মাসে এই অভিযানে ৫৩ হাজার ৯৭৭ জন নিহত ও ১ লাখ ২২ হাজার ৯৬৬ জন আহত হয়েছে, যাদের মধ্যে ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু।
এখনও ধারণা করা হচ্ছে, ওই ২৫১ জন জিম্মির মধ্যে অন্তত ৩৫ জন জীবিত রয়েছেন এবং আইডিএফ তাদের উদ্ধার অভিযানে কাজ করছে।
এদিকে, জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক মহল বারবার ইসরায়েলকে হামলা বন্ধের আহ্বান জানালেও প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, হামাস পুরোপুরি ধ্বংস না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে।