Logo Logo

কম্বোডিয়ার সঙ্গে শান্তিচুক্তি স্থগিত করলো থাইল্যান্ড


Splash Image

সীমান্তের কাছে স্থলমাইন বিস্ফোরণে নিজেদের দুই সেনা আহত হওয়ার ঘটনার জেরে প্রতিবেশী দেশ কম্বোডিয়ার সঙ্গে করা শান্তিচুক্তি স্থগিত করেছে থাইল্যান্ড। সোমবার (১০ নভেম্বর) রয়্যাল থাই আর্মির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।


বিজ্ঞাপন


বিবৃতিতে জানানো হয়, থাইল্যান্ডের সিসাকেত প্রদেশে মাইন বিস্ফোরণে এক সেনা গুরুতরভাবে পায়ে আঘাত পান এবং বিস্ফোরণের ধাক্কায় আরেক সেনা বুকে ব্যথা অনুভব করেন।

থাই সরকারের মুখপাত্র সিরিপং অংকাশাকুলকিয়াত জানান, ব্যাংকক ‘যৌথ ঘোষণার পরবর্তী কার্যক্রম’ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর অর্থ, কম্বোডিয়ার সঙ্গে সম্প্রতি করা শান্তিচুক্তির বাস্তবায়ন আপাতত স্থগিত থাকবে।

কম্বোডিয়ার কর্তৃপক্ষ থাইল্যান্ডের এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে এর আগে সীমান্তে নতুন মাইন পুঁতে রাখার অভিযোগ অস্বীকার করেছিল দেশটি। একইদিনে কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে শান্তির প্রতি তাদের ‘অচল প্রতিশ্রুতি’র কথা পুনর্ব্যক্ত করে।

এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে সীমান্তবিরোধ চলছে। গত জুলাইয়ে সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে থাইল্যান্ডের এক সেনা নিহত হওয়ার পর দুই দেশের মধ্যে তীব্র সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে। ব্যাংককের দাবি, বিরোধপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় কম্বোডিয়ার সেনারাই মাইন পুঁতে রেখেছিল। ওই সংঘাতে উভয় পক্ষের অন্তত ৪৩ জন নিহত হন এবং বাস্তুচ্যুত হন ৩ লাখের বেশি মানুষ।

পরে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হস্তক্ষেপ, চীনা কূটনীতিকদের প্রচেষ্টা এবং মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের মধ্যস্থতায় ২৯ জুলাই দুই দেশ প্রাথমিক অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হয়। এরপর গত অক্টোবরের শেষে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর জোট আসিয়ানের শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে উভয় দেশ একটি যৌথ ঘোষণায় স্বাক্ষর করে। ওই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপস্থিতিতে।

যৌথ ঘোষণাপত্র অনুযায়ী, থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সীমান্ত এলাকা মাইনমুক্ত করা, ভারী অস্ত্র প্রত্যাহার এবং আসিয়ান পর্যবেক্ষক দলের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার বিষয়ে একমত হয়। পাশাপাশি থাইল্যান্ড প্রতিশ্রুতি দেয়, কয়েক মাস ধরে আটক করে রাখা কম্বোডিয়ার ১৮ সেনাকে মুক্তি দেওয়া হবে—যা ছিল চুক্তির পরবর্তী ধাপ।

চুক্তির পর কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, তারা থাই সীমান্ত থেকে ভারী ও ধ্বংসাত্মক অস্ত্র প্রত্যাহার শুরু করেছে।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...