ভোরের বাণী
ফাইল ছবি : চীনা রাষ্ট্রদূত ও চীনের সামরিক বাহিনী
বিজ্ঞাপন
বুধবার (২৮ মে) রাজধানীতে একটি অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন রাষ্ট্রদূত ইয়াও। তিনি বলেন, "চীন সবসময়ই বন্ধুত্বের ভিত্তিতে সম্পর্ক গড়ে তোলে। সামরিক বা আধিপত্য বিস্তারের কোনো লক্ষ্য আমাদের নেই। মার্কিন প্রতিবেদনটি কোন তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি হয়েছে, তা আমি বুঝতে পারছি না। এর মধ্যে কোনো সত্যতা নেই।"
সম্প্রতি ‘বিশ্বব্যাপী হুমকি মূল্যায়ন’ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা (DIA)। সেখানে দাবি করা হয়, চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (PLA) বাংলাদেশ, পাকিস্তান, মিয়ানমার, থাইল্যান্ডসহ অন্তত ১৬টি দেশে সামরিক উপস্থিতি তৈরির পরিকল্পনা করছে। এর অংশ হিসেবে অবকাঠামো নির্মাণের কথাও উল্লেখ করা হয়।
এই প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় চীনা রাষ্ট্রদূত জানান, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, মিয়ানমার—এই তিন দেশের সঙ্গে চীনের ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। তবে সেখানে সামরিক কোনো উদ্দেশ্য বা ঘাঁটি স্থাপনের পরিকল্পনা নেই।
এ প্রসঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, "এই প্রতিবেদন সম্পর্কে আমার কোনো তথ্য নেই। বিষয়টি আমার নজরে আসেনি।"
চীন ও বাংলাদেশের মধ্যকার সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরে বন্ধুত্বপূর্ণ এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতার মাধ্যমে গড়ে উঠেছে। সামরিক ঘাঁটি সংক্রান্ত মার্কিন এই প্রতিবেদনকে অনেকেই কূটনৈতিকভাবে সংবেদনশীল বলে মনে করছেন।