বিজ্ঞাপন
সকালে লেখকের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন দুই পুত্র নিনীত ও নিশাত হুমায়ূনকে সঙ্গে নিয়ে কবর জিয়ারত করেন। পরে কেক কেটে ও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তারা।
দিনব্যাপী নুহাশ পল্লীতে আয়োজন করা হয়েছে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, এতিমদের মাঝে খাবার বিতরণসহ নানা স্মরণানুষ্ঠান। গেল রাত ১২টা ১ মিনিটে নুহাশ পল্লীর কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা মোমবাতি প্রজ্জ্বলন ও কেক কেটে স্মরণ করেন কিংবদন্তি এই লেখককে।
ভক্তদের অনেকে জানান, হুমায়ূন আহমেদ শুধু একজন লেখক নন, তিনি তাদের জীবনের এক অনুভূতি। তাঁর সৃষ্টি আজও নতুন প্রজন্মকে ছুঁয়ে যায় অনুপ্রেরণার মতো।
এদিন স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন বলেন, হুমায়ূন আহমেদের স্বপ্নের ক্যান্সার হাসপাতাল ও জাদুঘর গড়তে ব্যর্থতার দায় আমার। তিনি শুধু লেখক ছিলেন না, তিনি একটি অনুভূতি একটি যুগের প্রতিনিধি। প্রতি বছর এই দিনটা আমাদের জন্য যেমন আবেগের, তেমনি আনন্দেরও।
১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন হুমায়ূন আহমেদ। দীর্ঘ সাহিত্যজীবনে তিনি উপন্যাস, নাটক ও চলচ্চিত্রে রেখেছেন অনন্য স্বাক্ষর। ২০১২ সালের ১৯ জুলাই কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
তবু তাঁর সৃষ্টির জগৎ আজও জীবন্ত প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম ছুঁয়ে যাচ্ছে হৃদয়ের গভীরে। বাংলা সাহিত্যের জাদুকর হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিনে নুহাশ পল্লীতে ভক্তদের ভালোবাসা যেন সেই সত্যেরই প্রমাণ।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...