বিজ্ঞাপন
তিনি বেসামরিক গাড়িতে অবস্থান করছিলেন, এমন সময় গাজা শহরের আল-নাফাক স্ট্রিটে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ঘটনাস্থলেই মারা যান বলে নিশ্চিত করেছে গাজা জার্নালিস্ট সিন্ডিকেট।
এই হত্যাকাণ্ড শুধু একজন পেশাদার সাংবাদিকের মৃত্যু নয়—এটি গাজার সাংবাদিকতার ওপর একটি সরাসরি হামলা বলেই মনে করছেন মানবাধিকারকর্মীরা। সিন্ডিকেটের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় নিহত সাংবাদিকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২১ জন।
আল জাজিরা-প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর টার্গেট কেবল রাজনৈতিক কিংবা সামরিক নয়, বরং স্বাধীন সাংবাদিকতার ওপরও।
এদিকে গাজার রাফাহ শহরের একটি বিতর্কিত নতুন ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রেও ঘটেছে রক্তাক্ত ঘটনা। জাতিসংঘ জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে অন্তত ৪৭ জন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন, যারা ত্রাণ নিতে এসেছিলেন।
জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরের ফিলিস্তিনবিষয়ক প্রধান আজিথ সংঘে জানান, ঘটনার প্রাথমিক প্রমাণ ইসরায়েলি গুলিকেই দায়ী করছে।
জাতিসংঘসহ একাধিক মানবিক সংস্থা এই বিতরণব্যবস্থাকে আন্তর্জাতিক মানবিক নীতিমালার পরিপন্থি বলে আখ্যায়িত করেছে। তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, এ ধরনের বিতরণ কৌশল ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক স্থানান্তরের পথ তৈরি করতে পারে।
সংস্থাগুলো হুঁশিয়ারি দিয়েছে—যদি ক্ষুধার্ত মানুষ নিরাপত্তার অভাবে ত্রাণ পেতে বাধ্য হয়, তবে সেটি আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের চরম লঙ্ঘন হিসেবে গণ্য হবে।
ইসরায়েল বলছে, তারা হামাসের হাতে ত্রাণ পৌঁছানোর ঝুঁকি কমাতেই নতুন বিতরণ ব্যবস্থা চালু করেছে। তবে তারা এখনো বড় পরিসরে ত্রাণ অপব্যবহারের কোনো স্বচ্ছ প্রমাণ দিতে পারেনি।
জাতিসংঘ পাল্টা যুক্তি দিয়েছে—তাদের নিজস্ব পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থাই যথেষ্ট কার্যকর, এবং এই বিকল্প পন্থা আসলে সংকট আরও গভীর করছে।
