বিজ্ঞাপন
অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার এবং গ্রামীণ কর্মসংস্থানের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে এবারের বাজেটে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাজেটের আকার ছিল ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। তবে চলতি অর্থবছরে সরকার পরিবর্তন ও বাজেট কাটছাঁটের ফলে তা কমে দাঁড়ায় ৭ লাখ ৮৯ হাজার ৯৯৮ কোটি টাকায়।
স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে এবারই প্রথম সংসদ ছাড়া একটি পূর্ণাঙ্গ বাজেট ঘোষণা হতে যাচ্ছে। ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে শেষবার এমন বাজেট দেওয়া হয়েছিল। এবারও অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বাজেট ঘোষণা করবেন, যা বিকেল ৪টায় বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারসহ সব বেসরকারি টিভি ও রেডিও চ্যানেলে একযোগে সম্প্রচারিত হবে।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এবারের বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে বরাদ্দ বাড়ানো হচ্ছে। বয়স্ক ও বিধবা ভাতাসহ বিভিন্ন ভাতার আওতায় উপকারভোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির পরিকল্পনা রয়েছে। সেইসঙ্গে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরির ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। রাস্তা-ঘাট নির্মাণ ও সংস্কারের কাজ বাড়ানো হবে।
সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ১৫ বছরে বাজেট উপস্থাপন করেছেন তিনজন অর্থমন্ত্রী। এবারে তারা কেউ নেই। বরং বাজেট ঘোষণা হচ্ছে একেবারে নতুন পরিপ্রেক্ষিতে—একটি অরাজনৈতিক অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে এবং জাতীয় সংসদ ছাড়াই।
নতুন অর্থবছরের বাজেট বাস্তবায়নের জন্য রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারি করা হবে ১ জুলাই থেকে। এর আগে ২৩ জুনের পর উপদেষ্টা পরিষদের এক বৈঠকে বাজেট অনুমোদনের কথা রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এ বাজেট শুধু অর্থনৈতিক দিক থেকেই নয়, রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক দিক থেকেও একটি নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
