বিজ্ঞাপন
এই সেন্টারটি বেইত লাহিয়ায় অবস্থিত নোরা আল-কাবি ডায়ালাইসিস ইউনিট, যা ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালের আওতাভুক্ত ছিল এবং ১৬০ জনেরও বেশি রোগী নিয়মিত সেবা নিচ্ছিলেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এর আগেও এই গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসাকেন্দ্রে হামলা চালানো হয়েছিল। কয়েক সপ্তাহ আগে সেন্টারটি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হলেও সীমিত আকারে চালু ছিল। তবে এবার পুরোপুরি ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে এটি।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মুনির আল-বুরশ এক ভিডিও প্রকাশ করেন, যেখানে দেখা যায় ইসরায়েলি বুলডোজার ধ্বংসস্তূপে কাজ করছে। ভিডিওটি হামলার ভয়াবহতা ও চিকিৎসা অবকাঠামোর করুণ পরিণতি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।
গাজায় চিকিৎসাসেবা কার্যত ভেঙে পড়ছে। কিডনি রোগীদের জন্য জীবনরক্ষাকারী ডায়ালাইসিস সেবার অনুপস্থিতিতে পরিস্থিতি চরম সংকটময় হয়ে উঠেছে। মন্ত্রণালয়ের হিসাব বলছে, চলমান সংঘর্ষের মধ্যে অন্তত ৪১ শতাংশ কিডনি রোগী মারা গেছেন। কারণ, হয় তারা সেবা পায়নি, নয়তো চিকিৎসাকেন্দ্রেই পৌঁছাতে পারেনি।
এই ধ্বংসযজ্ঞের প্রেক্ষাপটে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (WFP)। সংস্থার নির্বাহী পরিচালক সিন্ডি ম্যাকেইন এক সাক্ষাৎকারে বলেন, "গাজায় কাজ করতে না পারলে এটা হয়ে উঠবে এক অভূতপূর্ব মানবিক বিপর্যয়।"
তিনি আরও বলেন, “আমাদের এখনই তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি ও মানবিক সহায়তার পূর্ণ প্রবেশাধিকার প্রয়োজন। প্রতিটি গেট খুলে দিতে হবে, যাতে আমরা খাবার পৌঁছে দিতে পারি এবং এই সংকট মোকাবিলা করতে পারি।”
ম্যাকেইন জানান, গাজার দক্ষিণাঞ্চলের রাফাহ শহরের জিএইচএফ পয়েন্টে খাদ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৩১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। “এটা এক হৃদয়বিদারক বাস্তবতা,” — বলেন তিনি।