বিজ্ঞাপন
এই অপ্রত্যাশিত ঢল নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ব্রিটেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জন হিলি। স্কাই নিউজকে তিনি বলেন, “গত পাঁচ বছরে আমরা সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছি। পাচারকারীরা যেন ‘ট্যাক্সি সার্ভিসের’ মতো মানুষ তুলে এনে চ্যানেল পার করাচ্ছে—এটা ভয়ঙ্কর এবং অমানবিক।”
চলতি বছর এখন পর্যন্ত ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়েছেন ১৪ হাজার ৮১১ জন। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় যা ৪২ শতাংশ বেশি। শুধু তাই নয়, ২০২৩ সালের তুলনায় এই সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে—৯৫ শতাংশ বৃদ্ধি। এই প্রবণতা বিশেষজ্ঞদের কাছে উদ্বেগজনক, কারণ এটি যুক্তরাজ্যের অভিবাসন নীতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির তথ্যমতে, ২০২৪ সালে ৩৭ হাজারের বেশি মানুষ ইংলিশ চ্যানেল পেরিয়ে ব্রিটেনে এসেছিলেন, যেখানে ২০২২ সালে রেকর্ড ছিল ৪৫ হাজার ৭৫৫ জন। একদিনে সর্বোচ্চ আগমনের আগের রেকর্ড ছিল ২০২২ সালের ৩ সেপ্টেম্বর—১৩০৫ জন।
ব্রিটিশ সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফ্রান্সের সঙ্গে একটি সমঝোতা চুক্তিতে পৌঁছেছে। ইতোমধ্যে ফরাসি কর্তৃপক্ষ ১৮৪ জনকে উদ্ধার করেছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, “আমরা চাচ্ছি পাচারকারীদের থামাতে ফরাসিদের ভূমিকা আরও জোরদার হোক, যাতে তারা নৌকা ছাড়ার আগেই অপরাধীদের আটকাতে পারে।”
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, “এই বিপজ্জনক যাত্রা বন্ধ করাই এখন আমাদের মূল লক্ষ্য। মানবপাচারকারীরা যাত্রীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভাবে না, তারা কেবল মুনাফা চায়। আমরা পাচারকারীদের সব স্তরে দমন করার জন্য শক্ত অবস্থানে আছি।”
সরকারের দাবি, একটি "সুনির্দিষ্ট, সংগঠিত এবং কার্যকর পরিকল্পনা" অনুযায়ী এখন অভিযান পরিচালিত হচ্ছে, যাতে মানবপাচার চক্র সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করা যায়।