অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বাজেট উপস্থাপন করেন। ছবি: পিআইডি
বিজ্ঞাপন
আজ সোমবার জাতীয় সংসদে বাজেট বক্তৃতায় তিনি বলেন, "আমাদের লক্ষ্য জনগণের ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা এবং গণতান্ত্রিক সরকারের হাতে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর নিশ্চিত করা।"
এ বাজেট বক্তৃতা বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার সরাসরি সম্প্রচার করে, যেখানে উপদেষ্টা সরাসরি বলেন, "গত দেড় দশকে দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। তাই এই ব্যবস্থাকে পুনর্গঠনের ওপর সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।"
বাজেটে নির্বাচন কমিশনের জন্য প্রস্তাবিত বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২ হাজার ৭২৫ কোটি টাকা, যা গত অর্থবছরের বরাদ্দের (৭৯৩ কোটি টাকা, সংশোধিত বাজেটে ৭১৬ কোটি) তুলনায় প্রায় তিন গুণ বেশি। এই বিশাল বরাদ্দ নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নে ব্যবহৃত হবে বলে জানা গেছে।
সালেহউদ্দিন আহমেদ আরও জানান, একটি গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে ইতোমধ্যে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। এবার নির্বাচনী স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে আধুনিক প্রযুক্তি যেমন জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সিস্টেম (জিআইএস) ব্যবহার করা হচ্ছে, যা নির্বাচনী এলাকায় সুনির্দিষ্ট তথ্য বিশ্লেষণ ও পর্যবেক্ষণে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
তিনি বলেন, "আমরা নির্বাচনী ব্যবস্থার সংস্কারে নতুন আইন, নীতিমালা ও নির্দেশনা সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছি। এই কাজ চলমান থাকবে, যাতে জনগণ নিশ্চিত হতে পারে যে তাদের ভোট গণতন্ত্রের ভিত্তি হয়ে দাঁড়াবে।"
নির্বাচনী ব্যবস্থার এই সংস্কার ও বাজেট বরাদ্দ শুধু একটি অবাধ নির্বাচন নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদে দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামো পুনর্গঠনের সংকল্পকেই প্রতিফলিত করে।