ছবি: সংগৃহীত
বিজ্ঞাপন
এটি ছয় বছর পর প্রথমবারের মতো এমন ঘটনা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এ সিদ্ধান্ত কেবল কূটনৈতিক একটি পরিবর্তন নয়, বরং দুই দেশের মধ্যকার উত্তেজনার স্পষ্ট প্রতিফলন। ২০২৩ সালে কানাডার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ভারতে সরাসরি অভিযোগ তুলেছিলেন খালিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যায় ভারতীয় গোয়েন্দাদের সম্পৃক্ততা রয়েছে। ভারত এই অভিযোগ ‘অযৌক্তিক ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছিল।
এ ঘটনার পর থেকে দিল্লি ও অটোয়ার সম্পর্ক ব্যাপকভাবে অবনতি ঘটে। উভয় দেশই পরস্পরের কূটনীতিকদের বহিষ্কার করে এবং সম্পর্ক একপ্রকার স্থবির অবস্থায় চলে যায়।
কানাডার সাম্প্রতিক নির্বাচনে নতুন প্রধানমন্ত্রী কার্নির জয় কিছুটা আশার সঞ্চার করলেও, দুই দেশের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় আস্থা এখনও তৈরি হয়নি বলে মনে করছে স্থানীয় জনগণ। তারই প্রেক্ষিতে, এবারের জি-৭ সম্মেলনে ভারতকে আমন্ত্রণ না জানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
জি-৭-এর বর্তমান সদস্য দেশগুলো হলো যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, জাপান, জার্মানি, ফ্রান্স ও ইতালি। যদিও ভারত এই জোটের সদস্য নয়, তবে ২০১৯ সাল থেকে নিয়মিত আমন্ত্রিত দেশ হিসেবে সম্মেলনে অংশ নিয়েছে। এবারের ব্যতিক্রম তাই আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করছে।
-এমএসএ নিউজ