বিজ্ঞাপন
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে তুরস্কভিত্তিক বার্তাসংস্থা আনাদোলু জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজার বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে ৫২টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এতে করে ২০২৩ সালের অক্টোবরে শুরু হওয়া এই যুদ্ধকাণ্ডে এখন পর্যন্ত মোট নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৪ হাজার ৪৭০ জন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও জানায়, গাজায় এখনও বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকে রয়েছেন। উদ্ধারকর্মীরা তাদের কাছে পৌঁছাতেও পারছেন না।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই আগ্রাসন শুধু সাধারণ মানুষকেই নয়, পুরো গাজা ভূখণ্ডের অবকাঠামো ও মানবিক কাঠামোকেও ভেঙে দিয়েছে। জাতিসংঘের হিসাবে, ইসরায়েলি হামলায় গাজার প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে হাসপাতাল, স্কুল, বাজার ও আবাসন কেন্দ্র।
গেল জানুয়ারিতে যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময়ের যে সাময়িক চুক্তি হয়েছিল, তা ১৮ মার্চে ভেঙে দিয়ে ইসরায়েল নতুন করে হামলা শুরু করে। এরপর থেকেই হামলার মাত্রা আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে। এই নতুন দফায় নিহত হয়েছেন ৪ হাজার ২০১ ফিলিস্তিনি, আহত হয়েছেন ১২ হাজার ৬৫২ জন।
এছাড়া আন্তর্জাতিক মহলেও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নিন্দা ও উদ্বেগ বাড়ছে। গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
এছাড়া আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মামলা চলছে, যা আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচারের ক্ষেত্রে এক নতুন দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখা হচ্ছে।
বিশ্বের বিবেক এখন গাজার দিকে তাকিয়ে। তবু প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে—এই রক্তপাতের শেষ কোথায়?