পাকিস্তানের (আইএসপিআর) এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী। ফাইল ছবি
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, “বেলুচ বিচ্ছিন্নতাবাদীরা শুধু ভারতের মদতপুষ্টই নয়, বরং তারা ভারতের ক্রীতদাসে পরিণত হয়েছে।”
রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সভায় তিনি বলেন, “বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) নামক সশস্ত্র সংগঠনের সম্পূর্ণ আর্থিক খরচ বহন করছে ভারত। এই সংগঠন পাকিস্তান ও দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তার জন্য এক বড় হুমকি।”
তিনি আরও জানান, “বিএলএ হলো ফিৎনা-ই-হিন্দুস্তান। এদের কার্যক্রম ও অর্থায়ন পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা উভয়কে ঝুঁকিতে ফেলেছে। আমরা পরিষ্কার ভাষায় জানাতে চাই— বেলুচিস্তান চিরকাল পাকিস্তানের অংশ হিসেবেই থাকবে।”
এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে ফের সামনে এসেছে বেলুচিস্তানের দীর্ঘ স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাস। ১৯৪৭ সালে ভারত ও পাকিস্তান স্বাধীনতা লাভের পর মাকরা, লাস বেলা এবং খারান পাকিস্তানে যোগ দিলেও খালাতের শাসক প্রথমে অস্বীকৃতি জানান। ১৯৪৮ সালে কিছুটা ভিন্নমত নিয়ে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন প্রিন্স আগা আবদুল করিম বালোচ। তখন থেকেই শুরু হয় বেলুচ জাতিগোষ্ঠীর স্বাধীনতা সংগ্রাম।
সাত দশক পরেও এই সংকট সমাধান হয়নি। বরং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ইসলামাবাদ ও বেলুচিস্তানের সম্পর্ক আরও জটিল হয়ে উঠেছে। রাজনৈতিক দমননীতি, অর্থনৈতিক বৈষম্য এবং সাংস্কৃতিক নিপীড়নের অভিযোগ আজও তীব্রভাবে উঠে আসে। পাকিস্তান সরকার যদিও বিএলএ-কে নিষিদ্ধ করেছে, কিন্তু সংঘাত থামেনি। বরং তা প্রতিদিনের ঘটনায় পরিণত হয়েছে।