বিজ্ঞাপন
বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। ১৫ সদস্যবিশিষ্ট এই পরিষদের পাঁচটি স্থায়ী সদস্য—যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, রাশিয়া ও ফ্রান্স—ভেটো ক্ষমতা রাখে। বাকি ১০টি অস্থায়ী সদস্য দেশ দুই বছরের জন্য নির্বাচিত হয়। প্রতি বছর পাঁচটি দেশ বিদায়ী সদস্যদের স্থলাভিষিক্ত হয়।
২০২৬-২৭ সালের মেয়াদের জন্য নির্বাচিত নতুন পাঁচ সদস্য হলো: বাহরাইন- ১৮৬ ভোট, কঙ্গো- ১৮৩ ভোট, লাইবেরিয়া- ১৮১ ভোট, কলম্বিয়া- ১৮০ ভোট, লাটভিয়া- ১৭৮ ভোট।
এই দেশগুলো আসছে বছর আলজেরিয়া, সিয়েরা লিওন, দক্ষিণ কোরিয়া, গায়েনা এবং স্লোভেনিয়ার জায়গা নেবে। নির্বাচিত দেশগুলো বিভিন্ন আঞ্চলিক গ্রুপের প্রতিনিধিত্ব করে থাকে। যদিও অনেক সময় গ্রুপভিত্তিক প্রতিদ্বন্দ্বী থাকে না, তারপরও সাধারণ পরিষদের দুই-তৃতীয়াংশ ভোট প্রয়োজন হয় সদস্য পদ নিশ্চিত করতে।
নিরাপত্তা পরিষদের গঠন বিশ্ব রাজনীতিতে ভারসাম্য আনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই অঙ্গটি যুদ্ধবিরতি, নিষেধাজ্ঞা আরোপ, শান্তিরক্ষী পাঠানো এবং কখনো কখনো সামরিক হস্তক্ষেপের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ফলে, নতুন সদস্যদের ভূমিকা আগামীর আন্তর্জাতিক সম্পর্ককে প্রভাবিত করতে পারে।
বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে, জার্মানির সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বায়েরবোক আগামী সেপ্টেম্বরে শুরু হতে যাওয়া নিরাপত্তা পরিষদের ৮০তম অধিবেশনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নেতৃত্বে পরিষদের কার্যক্রম নতুন দিক পেতে পারে বলেই বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
এমন একটি সময়ে, যখন বৈশ্বিক নিরাপত্তা হুমকির মুখে, তখন এই নতুন সদস্য দেশগুলোর অংশগ্রহণ আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও কূটনৈতিক ভারসাম্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করছেন জাতিসংঘ পর্যবেক্ষকরা।