ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার (৩ জুন) ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৪০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও ২০৮ জন। এতে করে চলমান আগ্রাসনে গাজায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৪ হাজার ৫১০ জনে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বহু মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকে আছে। উদ্ধারকর্মীরা নিরাপত্তাজনিত কারণে সেসব এলাকায় পৌঁছাতে পারছেন না, ফলে বাস্তব চিত্র আরও ভয়াবহ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েল গাজায় যে সামরিক অভিযান শুরু করে, তার ধারাবাহিকতায় এই হত্যাযজ্ঞ চলছে। গত ১৮ মার্চ যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাতিল করে ইসরায়েল আবার নতুন করে হামলা শুরু করে। এরপর থেকেই বেসামরিক নাগরিকদের ওপর আরও তীব্রভাবে হামলা চালানো হচ্ছে।
শুধু ১৮ মার্চের পর থেকেই নতুন করে ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ৪ হাজার ২৪০ জন ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন আরও ১২ হাজার ৮৬০ জন। গাজার চিকিৎসা অবকাঠামো ইতোমধ্যে ভেঙে পড়েছে, খাদ্য, পানি ও ওষুধের তীব্র সংকট চলছে।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, ইসরায়েলি আগ্রাসনের ফলে গাজার প্রায় ৯০ শতাংশ জনগণ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। ধ্বংস হয়েছে স্কুল, হাসপাতাল, আবাসিক ভবনসহ গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর বড় একটি অংশ।
এর আগে ২০২৩ সালের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (ICC) ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল। এছাড়া গাজায় গণহত্যার অভিযোগে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতেও মামলা চলমান রয়েছে।
মানবিক সহায়তা এবং সংঘাত বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপ অব্যাহত থাকলেও, ইসরায়েলি হামলা বন্ধে কার্যকর কোনো উদ্যোগ এখনো চোখে পড়ছে না।