ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
বুধবার (৪ জুন) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, “বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার ব্যাপারে খুবই উদার। আমরা সবসময় সমালোচনাকে স্বাগত জানাই। তবে কেউ যেন ভুল তথ্য ছড়িয়ে জনমনে বিভ্রান্তি না সৃষ্টি করে, সে বিষয়ে আমরা সতর্ক।”
তিনি বলেন, কিছু সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে, মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান, অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ এবং অন্যান্য দুই মন্ত্রীর মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি বাতিল করা হয়েছে—এ খবর সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
উপ-প্রেস সচিব আরও বলেন, “আমরা আশা করি, যারা এই ভুল ও বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন, তারা অনতিবিলম্বে সংশোধনী প্রকাশ করে তাদের পাঠকের কাছে দুঃখ প্রকাশ করবেন।”
তিনি জানান, এ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। মন্ত্রী নিশ্চিত করেছেন, মুজিবনগর সরকারের সব নেতা, মন্ত্রী এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃত ছিলেন এবং থাকবেন।
তিনি আরও বলেন, ১৯৭২ সালে নির্ধারিত মুক্তিযুদ্ধের সংজ্ঞা অনুযায়ী যে কেউ যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন বা নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাদেরকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। পরবর্তীতে ২০১৮ ও ২০২২ সালে সংজ্ঞায় কিছু পরিবর্তন আনা হলেও, মুক্তিযোদ্ধা এবং সহযোগী মুক্তিযোদ্ধাদের মর্যাদা ও সুবিধা একই থাকবে।
উল্লেখ্য, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) অধ্যাদেশ অনুযায়ী, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র ও কূটনীতিকদের ‘সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে, যা তাদের সম্মানহানির নয় বরং অবদানের স্বীকৃতি।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, “ভুল ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করলে সরকার প্রয়োজনে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে বাধ্য হবে।”