বিজ্ঞাপন
শনিবার (৭ জুন) সকাল সাড়ে ৭টায় রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত এ জামাতে অংশ নেন সরকারের শীর্ষ উপদেষ্টারা ও বিশিষ্টজনেরা।
জামাতে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি. আর. আবরার এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানসহ সরকারের অন্যান্য প্রতিনিধিরা।
নামাজে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি মোহাম্মদ আবদুল মালেক। জামাত শুরুর ঠিক ৫ মিনিট আগে, সকাল ৭টা ২৫ মিনিটে ঈদগাহ মাঠে পৌঁছান প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। তিনি সাধারণ মুসল্লিদের সঙ্গে সারিবদ্ধভাবে নামাজ আদায় করেন।
নামাজ শেষে মুফতি আবদুল মালেক দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনায় খুতবা ও মোনাজাত পরিচালনা করেন। মোনাজাতে অংশ নেন জামাতে আগত হাজারো মুসল্লি। পরে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস দেশের স্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং মানুষের অধিকার ও ন্যায়বিচারের পক্ষে বিশেষ দোয়ার আহ্বান জানান।
ঈদুল আজহার জামাত ঘিরে নিরাপত্তা ছিল কঠোর। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পুরো ঈদগাহ মাঠে কড়া নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেন। মুসল্লিদের প্রবেশে ছিল কয়েক স্তরের চেকপোস্ট, মেটাল ডিটেক্টর ও তল্লাশির ব্যবস্থা।
জাতীয় ঈদগাহে ঈদের জামাত অংশগ্রহণ সরকারের পক্ষ থেকে ধর্মীয় সম্প্রীতি, গণতান্ত্রিক চেতনা এবং সামাজিক সংহতির বার্তা বহন করে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এই জামাতের মধ্য দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা ও ধর্মীয় অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধার প্রতিফলন ঘটেছে।