বিজ্ঞাপন
দেশের সীমান্ত রক্ষা, আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং কোরবানির চামড়াকে অবৈধভাবে পাচার হওয়া থেকে রক্ষায় এবার ঈদের দিনেও অতিরিক্ত সর্তকতার সাথে দায়িত্ব পালন করছে বাহিনীটি।
আজ শনিবার (৭ জুন) বিজিবির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কোরবানির সময়টিকে ঘিরে প্রতিবছরই সীমান্ত এলাকায় চামড়া পাচারের অপচেষ্টা বেড়ে যায়। এই বাস্তবতাকে সামনে রেখে বিজিবি এ বছর আগেভাগেই সীমান্ত জুড়ে কঠোর নজরদারি চালু করেছে। ঈদের দিনেও ‘সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী’ হিসেবে বিজিবির সদস্যরা সীমান্ত রক্ষা, চোরাচালান প্রতিরোধ এবং চামড়া পাচার রোধে সর্বোচ্চ সতর্কতায় কাজ করছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, সীমান্ত এলাকায় নজরদারি ও টহল তৎপরতা বহুগুণে বাড়ানো হয়েছে। বিশেষ করে চিহ্নিত চোরাপথগুলোতে অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন, গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষণ এবং স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করছে বিজিবি। ঈদের ছুটির মাঝেও এই সতর্ক তৎপরতা চামড়া পাচার প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখছে বলে জানানো হয়।
প্রসঙ্গত, কোরবানির পশুর চামড়া বাংলাদেশের অর্থনীতির এক গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ। পাচারের কারণে দেশীয় ট্যানারি শিল্প ক্ষতির মুখে পড়ে, এবং চামড়ার ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হন সাধারণ মানুষ ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো।
এছাড়া, বিজিবি জানিয়েছে, সীমান্ত দিয়ে পুশ-ইন বা অনুপ্রবেশ রোধেও তারা সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সন্দেহভাজন চলাচলের ওপর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে এবং বিভিন্ন স্থানে স্থাপন করা হয়েছে অস্থায়ী চেকপোস্ট।
চামড়া পাচার রোধ ও সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করতে বিজিবির এ ধরনের উদ্যোগকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা মনে করছেন, এতে করে কোরবানির মৌসুমে চোরাচালান ও নিরাপত্তা হুমকির আশঙ্কা অনেকটাই কমে আসবে।