বিজ্ঞাপন
সফরের মূল এজেন্ডা—যুক্তরাজ্যে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার উদ্যোগ, যা বাংলাদেশ সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার তালিকায় রয়েছে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, একটি নির্বাচিত সরকার গঠনের আগে এমন কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ফল কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে যথেষ্ট অনিশ্চয়তা রয়েছে। সফরটি ১০ জুন থেকে ১৩ জুন পর্যন্ত চলবে, যা প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে অধ্যাপক ইউনূসের প্রথম ইউরোপ সফর।
এই সফরে অধ্যাপক ইউনূস ১১ জুন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমারের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নেবেন। এছাড়া ১২ জুন তিনি সেন্ট জেমস প্রাসাদে রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
সফরের কূটনৈতিক গুরুত্ব প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, “ব্রিটেনে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে আমাদের এই সফর গুরুত্বপূর্ণ। বিষয়টি আলোচনায় প্রাধান্য পাবে।”
তবে সাবেক কূটনীতিক রাশেদ চৌধুরী এই সফরের বাস্তব ফলাফল নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “যতদিন না পর্যন্ত একটি নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসে, ততদিন ব্রিটিশ সরকার এই ধরনের উদ্যোগে পূর্ণ সমর্থন দেবে না বলেই মনে করি। আন্তর্জাতিক মহলে অন্তর্বর্তী সরকারের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাজ্য সব সময় গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার পক্ষে এবং বাংলাদেশেও তারা একটি নির্বাচিত সরকারের অধীনে স্থিতিশীলতা দেখতে চায়। “বর্তমান সরকারকে তারা সাময়িক বা সীমিত ক্ষমতাসম্পন্ন হিসেবেই বিবেচনা করছে,” মন্তব্য করেন চৌধুরী।
এ সফরে একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জনও রয়েছে অধ্যাপক ইউনূসের জন্য। ১২ জুন তিনি রাজা তৃতীয় চার্লসের কাছ থেকে 'কিংস চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড' গ্রহণ করবেন। এ বিষয়ে সাবেক কূটনীতিকরা বলেছেন, “এটি ইউনূসের জন্য যেমন ব্যক্তিগত সম্মান, তেমনি সরকারের ভাবমূর্তির জন্যও এক ইতিবাচক দিক।”