বিজ্ঞাপন
গাজা সিটির সাবরা এলাকায় আবাসিক ভবনে পরিচালিত এই বর্বর হামলায় নারী ও শিশুরাও নিহত হয়েছে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, শনিবার গভীর রাতে সাবরা এলাকায় একটি বাড়িতে ইসরায়েলি বাহিনী আগাম কোনো সতর্কতা ছাড়াই বোমা হামলা চালায়। এতে অন্তত ১৬ জন নারী-শিশু নিহত হয় এবং ৮৫ জনের মতো মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে।
ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসেল বলেন, "ইসরায়েলি বাহিনী কোনো সতর্কবার্তা দেয়নি। ঘুমন্ত মানুষদের ওপরই বোমা বর্ষণ করা হয়েছে। আমরা এখন ধ্বংসস্তূপের নিচে জীবিতদের খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করছি।"
ঘটনাস্থলের প্রত্যক্ষদর্শী শরণার্থী হামেদ কেহিল জানান, “রাতের ঘুম ভেঙে দেখি, চারপাশে ধ্বংস। ঈদের সকালে আমরা যেন মৃত্যুপুরীতে জেগে উঠি। বাচ্চাদের হাসির পরিবর্তে আমরা কাঁধে তুলে নিচ্ছি তাদের নিথর দেহ।”
ফিলিস্তিনি নাগরিক প্রতিরক্ষা বিভাগ এই হামলাকে ‘পূর্ণাঙ্গ গণহত্যা’ বলে আখ্যায়িত করেছে। জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা জানানো হলেও হামলার তীব্রতা থামছে না।
অবরুদ্ধ গাজার দক্ষিণাঞ্চলে খান ইউনিসে আল-আমাল হাসপাতাল বর্তমানে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ফিলিস্তিন রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী ওই অঞ্চলকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ যুদ্ধক্ষেত্র’ ঘোষণা করে এলাকাবাসীকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এতে আহতদের চিকিৎসা করাও কঠিন হয়ে পড়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই ধরণের লক্ষ্যহীন ও নির্বিচার হামলা শুধু আন্তর্জাতিক মানবাধিকার লঙ্ঘনই নয়, বরং এটি ভবিষ্যতে দীর্ঘস্থায়ী সহিংসতার আশঙ্কাও বাড়িয়ে তুলছে।
গাজা এখন এক মৃত্যুর উপত্যকা। যেখানে ঈদের আনন্দের বদলে চলছে কান্নার রোল, ধ্বংসের স্তূপ থেকে প্রতিনিয়ত বেরিয়ে আসছে নতুন নতুন লাশ।