বিজ্ঞাপন
বিশেষ করে পুরান ঢাকা, লালবাগ, টিকাটুলী, মুগদা ও বাসাবো এলাকায় সকাল থেকেই ধর্মীয় উৎসবের রঙিন ছাপ স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়।
সরেজমিনে পুরান ঢাকার বংশাল এলাকায় দেখা যায়, অনেক বাসার সামনেই পলিথিন টানিয়ে কোরবানির প্রস্তুতি চলছিল। কারও কারও পশু জবাই শেষ হয়ে গেছে, কেউ আবার তখনও অপেক্ষায়। রাস্তার ধারে তরুণরা মাংস কাটছে, কসাই দিচ্ছেন নির্দেশনা, আর একপাশে দাঁড়িয়ে শিশুরা তাকিয়ে আছে কৌতূহলী চোখে। লালবাগের বউবাজার, মুগদার ভেতর গলি কিংবা বাসাবোর আবাসিক এলাকায়ও একই দৃশ্য বিরাজমান।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, প্রথম দিনে যারা কসাই পাননি বা পশু হাট থেকে পৌঁছাতে দেরি হয়েছে, তারা আজ কোরবানি করছেন। কেউ কেউ ইচ্ছে করেই দ্বিতীয় দিন বেছে নিয়েছেন, যাতে চাপ কম থাকে এবং কাজ নির্বিঘ্নে করা যায়।
লালবাগের বাসিন্দা মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, “আমাদের কসাই তিনটা কাজ নিয়ে ফেলেছিল, তাই সময় হয়নি। আজ সকালে নিজেরাই জবাই করেছি।”
স্থানীয় যুবক মিল্লাত হোসেন জানান, “আমরা কালকেই কোরবানি করেছি, আজ প্রতিবেশীর কোরবানিতে সাহায্য করছি।”
মুগদার রোজিনা আক্তার বলেন, “সব আত্মীয় মিলে আজ একসঙ্গে কোরবানি করেছি। গতকাল সবাই ব্যস্ত ছিল।”
এদিকে, পরিচ্ছন্নতা নিয়েও সচেতনতা ছিল চোখে পড়ার মতো। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কর্মীরা দ্বিতীয় দিনেও সক্রিয়ভাবে বর্জ্য অপসারণে কাজ করছেন।
ডিএনসিসির এক কর্মকর্তা জানান, “যেখানে আজ কোরবানি হচ্ছে, সেখানে আমাদের টিম সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।”
টিকাটুলীতে কাজরত পরিচ্ছন্নতাকর্মী সবুজ আলম বলেন, “আজ সকাল থেকেই ব্যাগ-বালতি নিয়ে কাজে নেমেছি। অনেকে নিজেরাও নির্ধারিত পয়েন্টে বর্জ্য জমা দিচ্ছেন।”
ধর্মীয় দিক থেকেও ঈদের দ্বিতীয় দিন, অর্থাৎ ১১ জিলহজ, কোরবানির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ইসলামে বলা হয়েছে, আল্লাহর কাছে সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ দিন কোরবানির দিন এবং পরদিনও এর মর্যাদা রয়েছে। তাই যারা প্রথম দিন কোরবানি করতে পারেননি, তারা দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনেও করতে পারেন। শরীয়তের দৃষ্টিতে কোরবানির সময়কাল ১০ থেকে ১২ জিলহজ পর্যন্ত, তাই আজকের কোরবানিও পূর্ণ ধর্মীয় তাৎপর্য বহন করে।