প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। ফাইল ছবি
বিজ্ঞাপন
তিনি মনে করেন, এ খাতের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নই দেশের টেকসই শিল্পায়ন ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির মূল চাবিকাঠি। আজ ‘বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস-২০২৫’ উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. ইউনূস বলেন, “বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড (বিএবি) এবং সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনের প্রতি আমি আহ্বান জানাই—তারা যেন এ খাতের উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা অব্যাহত রাখে।”
দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য—‘অ্যাক্রেডিটেশন: ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগের ক্ষমতায়ন (এসএমই)’—নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, এই প্রতিপাদ্য বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত সময়োপযোগী।
প্রফেসর ইউনূস বলেন, “এসএমই খাত আমাদের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) একটি বড় অংশ জোগান দেয় এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির অন্যতম প্রধান ক্ষেত্র। তবে এই খাত প্রতিনিয়ত নানা চ্যালেঞ্জ—যেমন আন্তর্জাতিক মান অর্জনে প্রতিবন্ধকতা, আর্থিক সীমাবদ্ধতা এবং ক্রেতার পরিবর্তনশীল চাহিদার—মুখোমুখি হচ্ছে।”
এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তিনি ‘সম্মিলিত বৈশ্বিক উদ্যোগ’-এর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, অ্যাক্রেডিটেশন ব্যবস্থা জাতীয় গুণগতমান অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে দক্ষ জনবল গড়ে তোলে, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে সহায়ক হয় এবং কারিগরি বাধা দূর করে।
বিএবির কার্যক্রম প্রসঙ্গে ইউনূস জানান, প্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যে ১৫৫টি সরকারি, বেসরকারি ও বহুজাতিক সংস্থাকে আন্তর্জাতিক মান অনুসারে অ্যাক্রেডিটেশন সনদ প্রদান করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ল্যাবরেটরি, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সনদ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান এবং পরিদর্শন সংস্থাগুলো।
প্রধান উপদেষ্টা বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন এবং সংশ্লিষ্টদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।