ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনের একাংশের স্ক্রিনশট
বিজ্ঞাপন
এই সফরের আগেই আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে যুক্তরাজ্যের সাবেক সিটি মিনিস্টার এবং ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিকের একটি কথিত চিঠি—যা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা ও রাজনৈতিক উত্তাপ।
রোববার (৮ জুন) যুক্তরাজ্যের প্রভাবশালী দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টিউলিপ সিদ্দিক অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে দেখা করে তাঁর বিরুদ্ধে উত্থাপিত দুর্নীতির অভিযোগ সংক্রান্ত ‘ভুল বোঝাবুঝির অবসান’ ঘটাতে চান। সেই লক্ষ্যেই নাকি তিনি অধ্যাপক ইউনূসের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। তবে এই চিঠির অস্তিত্ব এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম bhorerbani.com.bd-কে বলেন, “আমরা এখন পর্যন্ত টিউলিপ সিদ্দিকের কোনো চিঠি পাইনি। আমরা ৫ জুন থেকে ছুটিতে আছি।” এ বক্তব্যে গার্ডিয়ানের দাবি নিয়ে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে।
উল্লেখ্য, টিউলিপ সিদ্দিক নিজেও বর্তমানে বিতর্কের মুখে রয়েছেন। শেখ হাসিনার সরকারের আমলে তাঁর ও তাঁর মায়ের (শেখ রেহানা) বিরুদ্ধে সরকারি জমি দখল, ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠে এসেছে। দুদকের অভিযোগপত্রে বলা হয়, তাঁরা বেআইনিভাবে ৭ হাজার ২০০ বর্গফুট জমির একটি প্লট গ্রহণ করেছেন। টিউলিপ এসব অভিযোগকে ভিত্তিহীন এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন।
২০২৪ সালের আগস্টে গণ-আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর তিনি ভারতে পালিয়ে যান। বর্তমানে তাঁর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে বিচার চলছে। এই প্রেক্ষাপটে টিউলিপের যোগাযোগের চেষ্টা রাজনৈতিকভাবেও তাৎপর্যপূর্ণ বলে বিশ্লেষকদের অভিমত।
অধ্যাপক ইউনূসের এবারের যুক্তরাজ্য সফর কেবল টিউলিপ ইস্যুতে সীমাবদ্ধ নয়। সফরে তাঁর যুক্তরাজ্যের রাজা তৃতীয় চার্লস, প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার এবং পররাষ্ট্রসচিব ডেভিড ল্যামির সঙ্গে বৈঠক রয়েছে। পাশাপাশি, ব্রিটিশ রাজনৈতিক ও ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা করবেন তিনি।
এই সফর আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক সম্পর্কের দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা, বিশেষ করে যখন বাংলাদেশ একটি রাজনৈতিক রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।