Logo Logo

পুলিশের ধাওয়ায় বিজিবি সদস্যের রহস্যজনক মৃত্যু, শরীরে মিলেছে আঘাতের চিহ্ন


ভোরের বাণী

Splash Image

গোপালগঞ্জে পুলিশের ধাওয়ার পর নিখোঁজ হয়ে একদিন পর পুকুরপাড় থেকে উদ্ধার করা হয়েছে সাবেক এক বিজিবি সদস্যের মরদেহ। নিহতের শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে ময়নাতদন্তকারী সূত্র। এ ঘটনায় রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে এবং পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে ।


বিজ্ঞাপন


নিহত হাফিজুর রহমান লিটন (৪৮) গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার কলপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি সাবেক বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্য ছিলেন।

নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (১৩ মে) দুপুরে খাওয়া শেষে হাফিজুর রহমান বাড়ি থেকে বের হন। এরপর তিনি আর বাড়িতে ফেরেননি। দীর্ঘ খোঁজাখুঁজির পর বুধবার (১৪ মে) সকালে গ্রামের একটি পুকুরপাড়ে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পরিবারের সদস্যদের এবং বৌলতলী পুলিশ ফাঁড়িকে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

হাফিজুরের স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম জানান, মঙ্গলবার দুপুরে স্বামী বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর রাত পর্যন্ত কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। রাতভর খোঁজাখুঁজির পর বুধবার সকালে তার মরদেহ পাওয়া যায়।

নিহতের চাচা আমিনুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, “ঘটনার সময় পুলিশ হাফিজুরসহ আরও কয়েকজনের মোবাইল ফোন নিয়ে যায় এবং একজনকে আটক করে। পরে টাকার বিনিময়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয় বলে আমরা জানতে পারি। আমরা পুলিশকে খবর দেওয়ার ৩ ঘণ্টা পর তারা ঘটনাস্থলে আসে। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”

ঘটনার বিষয়ে গোপালগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সালেহ মো. আনসার উদ্দিন জানান, “মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৬টার দিকে সদর উপজেলার বৌলতলী ইউনিয়নের কলপুর গ্রামের একটি খালপাড়ে জুয়ার আসরে অভিযান চালায় বৌলতলী ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যরা। পুলিশ দেখে ১০-১৫ জন দৌড়ে পালায়। এর মধ্যে হাফিজুর রহমানও ছিলেন। তিনি বাড়িতে না ফেরায় পরিবার খোঁজাখুঁজি শুরু করে।”

তিনি আরও জানান, “ময়নাতদন্তে নিহতের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। তবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে চূড়ান্ত ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন অপেক্ষা করতে হবে। রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এবং পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে স্থানীয়রা। পরিবার দাবি করেছে, এটি নিছক দুর্ঘটনা নয় বরং পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হতে পারে।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...