Logo Logo

সাদিক কায়েমের ‘সমন্বয়ক’ পরিচয় নিয়ে এনসিপি নেতা নাহিদের প্রশ্ন


Splash Image

৫ আগস্টের রাজনৈতিক মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া ঘটনাপ্রবাহের পর নিজেদের ভূমিকা ঘিরে ফের বিতর্কে জড়িয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।


বিজ্ঞাপন


শিবির নেতা সাদিক কায়েমের সমন্বয়ক পরিচয় গ্রহণ এবং শিবিরের ‘নেতৃত্বদানের’ দাবিকে ভিত্তিহীন আখ্যা দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিস্ফোরক স্ট্যাটাস দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

নাহিদ ইসলাম অভিযোগ করেন, “৫ আগস্টের পর থেকে সাদিক কায়েম নিজেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক বলে পরিচয় দিচ্ছেন, যা স্রেফ বিভ্রান্তিকর। তিনি কখনো এই সংগঠনের সমন্বয়ক ছিলেন না।” তিনি জানান, ৫ আগস্ট রাতের প্রেস ব্রিফিংয়ে শিবির সংশ্লিষ্টতা থাকায় সাদিক কায়েমকে সেখানে বসার সুযোগ দেওয়া হয়, তবে পরবর্তী সময়ে এই সুযোগকে ব্যবহার করে ‘ভুল প্রচারণা’ চালানো হয়েছে।

সাবেক সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, “সাদিক কায়েম এক টকশোতে দাবি করেছেন, ছাত্রশক্তির গঠন প্রক্রিয়ায় শিবির নেতৃত্ব দিয়েছে। এই বক্তব্য স্রেফ মিথ্যাচার। ‘গুরুবার আড্ডা’ পাঠচক্র, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অধিকার পরিষদের পদত্যাগকারী অংশ এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি স্টাডি সার্কেল—এই তিনটি অংশের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ছাত্রশক্তি গঠিত হয়।”

তিনি আরও যোগ করেন, “আমরা ক্যাম্পাসে দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় ছিলাম। সকল রাজনৈতিক সংগঠনের সাথে আমাদের যোগাযোগ ছিল, শিবিরের সাথেও। তবে যোগাযোগ মানেই রাজনৈতিক যুক্ততা নয়। শিবির কখনো আমাদের নির্দেশনা দেয়নি। আমরা সব পক্ষের সাথেই আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

ফেসবুক স্ট্যাটাসে এনসিপি আহ্বায়ক আরও দাবি করেন, “৫ আগস্টের প্রেস ব্রিফিংয়ের পর তারেক রহমানের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে এক ভার্চুয়াল মিটিংয়ে জাতীয় সরকার এবং নতুন সংবিধানের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। যদিও তারেক রহমান এতে সম্মত হননি। তিনি নাগরিক সমাজ দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পরামর্শ দেন। আমরা সেখানে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নাম প্রস্তাব করেছিলাম প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে।”

তিনি জানান, ৭ আগস্ট ভোরে মির্জা ফখরুলের বাসায় এ সংক্রান্ত আরও আলোচনা হয়। উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের বিষয়ে আলোচনার সময়ও তারেক রহমান সম্পৃক্ত ছিলেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, “২ আগস্ট রাতে জুলকারনাইন সায়েরদের নেতৃত্বে সামরিক বাহিনীর এক অংশ ক্ষমতা গ্রহণের চেষ্টা করে। কথিত ‘সেইফ হাউজে’ থাকা ছাত্র নেতাদের উপর চাপ প্রয়োগ করা হয় যেন তারা সরকার পতনের ঘোষণা দিয়ে আমাদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে। কিন্তু আমরা এ প্রচেষ্টা প্রত্যাখ্যান করি।”

তিনি বলেন, “আমাদের অবস্থান ছিল স্পষ্ট—সেনাবাহিনী বা সেনা-সমর্থিত কোনো শক্তির হাতে ক্ষমতা দেওয়া যাবে না। এটি আরেকটি এক-এগারোর জন্ম দেবে এবং আওয়ামী লীগ পুনরায় ফিরে আসার সুযোগ পাবে।”

নাহিদ ইসলাম অভিযোগ করেন, “৫ আগস্টের পর সায়ের গোষ্ঠী বারবার আমাদের বিরুদ্ধে পাল্টা নেতৃত্ব দাঁড় করাতে চেয়েছে। এই প্রচেষ্টায় সাদিক কায়েমদের ব্যবহার করেছে এবং তারা ব্যবহৃতও হয়েছে।”

তিনি বলেন, “বর্তমানে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার, কল রেকর্ড ফাঁস, সার্ভেইলেন্স, চরিত্রহনন—যত অপপ্রচার সম্ভব তাই চলছে। তবে মিথ্যার ভিত্তি টেকে না। সত্যের পথে থাকলে এই অপচেষ্টা ব্যর্থ হবেই।”

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...