Logo Logo

কাশিয়ানীতে ইটভাটার ট্রাকে নষ্ট হচ্ছে সরকারি রাস্তা, চরম দুর্ভোগে স্থানীয়রা


ভোরের বাণী

Splash Image


বিজ্ঞাপন


গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলায় ইটভাটার মাটি টানা ট্রাক, ট্রাক্টর ও ভেকু মেশিনের অত্যধিক চলাচলের কারনে নষ্ট হচ্ছে সরকারি কোটি কোটি টাকার পিচঢালা পাকা রাস্তা। সরকার কঠোর আইন করলেও বাস্তবায়নের চিত্র হতাশাজনক। স্থানীয় প্রশাসনের উদাসীনতা এবং মাটি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের প্রভাবের কারণে প্রতিনিয়ত জনদুর্ভোগ বাড়ছে।

প্রতি বছর ইটভাটার মৌসুম শুরুর সঙ্গে সঙ্গে জমির উর্বর টপসয়েল কেটে শুরু হয় মাটি বিক্রির উৎসব। কখনো পুকুর খননের নামে আবার কখনো সরাসরি ভেকু মেশিন দিয়ে জমি কেটে চলে মাটির উত্তোলন। এরপর সেই মাটি ট্রলি ও ট্রাকে করে সরকারি রাস্তায় টেনে নেওয়া হয় ইটভাটায়।

ফলে অল্প সময়েই পাকা রাস্তা ধূলায় ঢাকা, খানাখন্দে ভরা আর বৃষ্টিতে কর্দমাক্ত হয়ে পড়ে। যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যায় বহু গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। স্থানীয়দের অভিযোগ, মাটি পড়ে থাকায় দুর্ঘটনাও ঘটে নিয়মিত।

বিশেষ করে ফুকরা ইউনিয়নের তারাইল পূর্বপাড়ায় মেসার্স রহুল আমিন ব্রিকস কর্তৃক মোঃ হায়াত কাজীর জমি থেকে অবৈধভাবে মাটি কেটে এলজিইডির পাকা রাস্তা ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে। প্রশাসন নিষেধাজ্ঞা দিলেও মাটিবাহী ট্রলির চলাচল বন্ধ হয়নি। এতে পুরো এলাকার পরিবেশ যেমন বিনষ্ট হচ্ছে, তেমনি দুর্ভোগে পড়ছে কয়েকটি গ্রামের মানুষ।

সম্প্রতি রামদিয়া বাজারের (তিলছাড়া) এক ফসলি জমি থেকে মাটি কাটার দায়ে মোঃ সাহিনকে ভ্রাম্যমাণ আদালত এক লক্ষ টাকা জরিমানা করে। আবার গত বুধবার মহেশপুর ইউনিয়নের ব্যাসপুর মধ্যপাড়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে মোঃ মিসকাতকেও জরিমানা করা হয় এক লক্ষ টাকা।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুনমুন পাল জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে অবৈধ মাটি উত্তোলন ও পরিবহনের দায়ে জরিমানা করা হয়েছে। জনস্বার্থে অভিযান চলমান থাকবে বলেও তিনি আশ্বাস দেন।

উপজেলা পরিষদ, সড়ক ও জনপদ বিভাগ এবং এলজিইডির কর্মকর্তারা বলেন, ভারী যানবাহনের অস্বাভাবিক চলাচলের ফলে প্রতিনিয়ত রাস্তা ভেঙে যাচ্ছে। নতুন রাস্তা নির্মাণের অল্প সময়ের মধ্যেই পুরোনো চেহারা ফিরে আসে। এতে কোটি টাকার সরকারি বিনিয়োগ কার্যত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

স্থানীয়রা দাবি তুলছেন, নিয়মিত অভিযান চালিয়ে ইটভাটা সিন্ডিকেটকে আইনের আওতায় আনতে হবে। নইলে সরকারি রাস্তা, পরিবেশ ও জনজীবন—সবই ধ্বংসের মুখে পড়বে।

প্রতিবেদক - মোঃ শিহাব উদ্দিন, গোপালগঞ্জ।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...