Logo Logo

শ্রীপুরে সমাজসেবার অনুদান পেয়ে ভিক্ষাবৃত্তি ছাড়লো দুই ভিক্ষুক


Splash Image

ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান কর্মসূচির আওতায় মাগুরার শ্রীপুরে দুইজন ভিক্ষুক পরিবারকে আর ভিক্ষা না করার শর্তে ভিক্ষাবৃত্তি থেকে বেরিয়ে নিজ কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে আর্থিক অনুদান বিতরণ করা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


০৬ আগস্ট বুধবার সকালে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ চত্বরে দুইজন ভিক্ষুকের হাতে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য জন প্রতি পাচটি করে মোট ১০ টি ছাগল অনুদান হিসাবে তুলে দেন শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাখী ব্যানার্জি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সমাজসেবা অফিসার আব্দুর রাজ্জাক, দারিয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান গোলাম মওলা, নাকোল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের প্রতিনিধি ইউপি সদস্য মোঃ চঞ্চল প্রমুখসহ প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দরা।

উপকারভোগীরা হলেন নাকোল ইউনিয়নের জৎশ্রীপুর গ্রামের প্রদিপ মন্ডল ও দারিয়াপুর ইউনিয়নের দারিয়াপুর গ্রামের নুরুল বিশ্বাস।

আর্থসামাজিক ভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য অনুদানের ছাগল পেয়ে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান উপকারভোগী দুই পরিবারের সদস্যরা।

শ্রীপুর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার আব্দুর রাজ্জাক জানান, ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান কর্মসূচির আওতায় উপজেলা বাস্তবায়ন কমিটির মাধ্যমে শ্রীপুর উপজেলার নাকোল ও দারিয়াপুর ইউনিয়নের দুইজন ভিক্ষুককে আর ভিক্ষা না করার শর্তে পাচটি করে উন্নত জাতের ছাগল অনুদান হিসাবে দেওয়া হয়েছে। আমরা আশা করি তারা সঠিক ভাবে ছাগলগুলো লালন পালন করলে দুইটি পরিবারই স্বাবলম্বী হিসাবে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাখী ব্যানার্জী বলেন, ভিক্ষুক পুনর্বাসনের জন্য যে টাকাটা বরাদ্দ আছে সেখান থেকে তাদেরকে নগদ অর্থ দেওয়ার সুযোগ ছিলো কিন্তু আমরা জানি যে তারা আসলে অভাবী পরিবার। তারা এই অর্থ নিজেরা খরচ করে ফেলতে পারে। ফলে এই টাকা হয়তো তাদের কোন কাজেই আসবে না। তাদেরকে ছাগল দেওয়ার কারণ হলো, এই ছাগল পালন করে যেন তারা স্বাবলম্বী হয়ে উঠতে পারে। আসলে এইটাই তাদের মূলধন হিসেবে কাজ করবে। এখান থেকেই ছাগলগুলো তারা বিক্রি করবে না। পরবর্তীতে এই ছাগলগুলো থেকে যে বাচ্চা হবে সেগুলো তারা বিক্রি করে তাদের আর্থসামাজিক উন্নতি লাভ করবে। এবং তাদের এই ছাগল দেওয়ার বিষয়টি উপকার ভোগীদের সাথে পরামর্শ করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

প্রতিবেদক - মো: রাজিব হোসেন, মাগুরা।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...