বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, “অনেকে নির্বাচনকে একমাত্র গণতন্ত্র মনে করছেন, যা ভুল দিক নির্দেশনা দিতে পারে কারণ তারা বিচার ও সংস্কারকে বাদ দিচ্ছেন। আবার কেউ কেউ বিচার ও সংস্কারকে নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য ব্যবহার করছেন, যা বিপজ্জনক ও বিপথগামী।”
সাকি উল্লেখ করেন, সংস্কার বাধ্যতামূলক এবং জাতীয় সনদ শীঘ্রই ঘোষণা হবে। তবে এতে কিছু বিষয়ে বিতর্ক, আপত্তি ও নোট অব ডিসেন্ট রয়েছে। তিনি বলেন, “যারা বলছেন নোট অব ডিসেন্ট সমাধান না হলে আমরা নির্বাচনে যাবো না, সেটি সমাধানের পথ হতে পারে না। তারা আন্দোলন করে দাবী পূরণের চেষ্টা করতে পারে, কিন্তু রাজনৈতিক বাস্তবতায় নির্বাচনকে অবরোধ করার সুযোগ নেই।”
তিনি নির্বাচনকে একটি শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক মাধ্যম হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, “সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হল পূর্ণাঙ্গ সংস্কারের জন্য অপরিহার্য। তাই সংস্কার আমাদের করতেই হবে এবং তার জন্য নির্বাচন প্রয়োজন।”
অন্যদিকে, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর তার বক্তব্যে বলেন, “জুলাই সনদের অনেক দিক নিয়ে আমরা একমত, কিন্তু ঘোষণাপত্রে যে প্রত্যাশা ছিল তা পূরণ হয়নি। সেখানে মনগড়া তথ্য ও পুরনো ইতিহাস তুলে ধরে নির্দিষ্ট দলের জন্য ন্যারেটিভ তৈরি করা হয়েছে। কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আড়াল রাখা হয়েছে, যা সনদের স্বচ্ছতা ও সমন্বয়ের মানসিকতার বিরোধী।”
নুর আরও যোগ করেন, “আমরা যে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এসেছি, তা ছিল একতা, ভ্রাতৃত্ব ও সংহতির নিদর্শন। আমরা এই ঐক্য ধরে রেখে উন্নত ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করব।”
তিনি জাতীয় নির্বাচনের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকার ইতোমধ্যে নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করেছে। আশা করি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি মডেল জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, যা দেশের গণতন্ত্রের ইতিহাসে এক ইতিবাচক অধ্যায় হবে। এতে মানুষের মতপ্রকাশের অধিকার নিশ্চিত ও একটি শক্তিশালী, দায়বদ্ধ সরকার গঠন সম্ভব হবে।”
জনপ্রিয়
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...