বিজ্ঞাপন
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় সারাদেশে মানুষ সমব্যথী, সেখানে সিইসির বক্তব্য আমাদের ক্ষুব্ধ করেছে। তিনি বিষয়টি নিয়ে নিজের অবস্থান ও বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে বাধ্য হবেন।”
তিনি আরও বলেন, “একজন বিপ্লবী আহত হওয়ার পর সরকার নড়েচড়ে বসবে—এমন সরকার আমরা চাই না। ৫৪ বছর ধরে জাতির ভাগ্য চোরাবালিতে হারিয়ে গেছে। অভ্যুত্থানের যে ঐক্য তৈরি হয়েছিল, তা ধরে রেখে সামনে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ এসেছে। জামায়াত ক্ষমতায় গেলে সব দলকে নিয়ে সরকার গঠন করে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করা হবে।”
ফ্যাসিবাদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “অনেকে ফ্যাসিবাদের সঙ্গে আপোষ করলেও জামায়াত কখনো আপোষ করেনি। ভবিষ্যতেও কোনো অন্যায়ের সঙ্গে আপোষ করবে না।”
সাংবাদিকদের উদ্দেশে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “যদি আমাদের ভালো না লাগে, পুরো মিডিয়া থেকে ব্ল্যাকআউট করে দিন। কিন্তু খণ্ডিত অংশ প্রচার করে আমাদের বিরুদ্ধে প্রপাগান্ডা ছড়াবেন না। ন্যায্য ও সত্য সমালোচনা আমরা মাথা পেতে নেবো। তবে জাতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়—এমন সাংবাদিকতা করবেন না। ছাই দিয়ে ধরুন, কিন্তু সেই ধরা যেন ন্যায্য হয়।”
অনুষ্ঠানে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান বলেন, “যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে মানুষ স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রাণ দিয়েছিল, তা এখনো পূরণ হয়নি। যারা ক্ষমতায় ছিল তারা নিজেদের ভাগ্য বদলালেও দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে পারেনি। ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের এখনো গ্রেপ্তার করা হয়নি। তাহলে সরকারের কাজ কী? এই ব্যর্থতার দায় নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ করা উচিত।”
কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম মাসুম বলেন, “গত ৫৪ বছরেও দেশের মানুষ প্রকৃত স্বাধীনতার স্বাদ পায়নি। শাসকদের কারণে জাতি বারবার বিভক্ত হয়েছে। অভ্যুত্থানের মাধ্যমে যে ঐক্য গড়ে উঠেছিল, তা ধরে রাখতে ব্যর্থ হওয়ার ফলেই হাদির ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।”
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
জনপ্রিয়
আরো দেখুন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...
