ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য দলের নিকট ভবিষ্যতের পরিকল্পনা এবং সাংগঠনিক পুনরুজ্জীবন অপরিহার্য।
শনিবার দুপুরে গুলশানের ইমানুয়েল পার্টি সেন্টারে দলের ১০তম জাতীয় কাউন্সিলের উদ্বোধনী স্বাগত বক্তব্যে এসব কথা বলেন এবিএম রুহুল আমিন।
তিনি আরো বলেন, “আমাদের নেতা-কর্মীদের মূল্যায়ন করে এবং দেশের মানুষের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার কথা চিন্তা করে আমরা এই কাউন্সিলের আয়োজন করেছি।” তিনি দেশের বর্তমান রাজনৈতিক সংকটের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, “দেশ একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। নির্বাচন হবে কি-হবে না, এটা নিয়ে দেশের মানুষ গভীর সন্দেহ ও অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন গুনছে। দেশের সাধারণ মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে, ঘর থেকে বেরিয়ে নিরাপদে ফিরে আসার নিশ্চয়তা নেই।”
রুহুল আমিনের কথায়, “এই কাউন্সিল জাতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা বিশ্বাস করি, শান্তিপূর্ণ সহঅবস্থান থেকে আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টি জনগণের কাছে যাবে এবং জনগণের সমর্থন নিয়ে ইনশাল্লাহ যেকোনো সময়ের চেয়ে ভালো ফলাফল অর্জন করবে।”
তিনি দলের গত আট বছরের কর্মপরিকল্পনা ও সংগ্রামের প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, “আমাদের নেতাকর্মীরা নিজেদের শ্রম, অর্থ ও সন্তানের ভবিষ্যৎ বলি দিয়ে এই দল টিকিয়ে রেখেছেন। তাদের অবদান ছাড়া দল এগোতে পারত না।” এবিএম রুহুল আমিন আরও আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, “আল্লাহর রহমতে আমরা ভবিষ্যতের সম্ভাবনা নিয়ে আবার এগিয়ে যাব।”
কাউন্সিলে দলের সকল স্তরে ঐক্যবদ্ধ সংগঠনের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, “আমরা প্রত্যেকে নিজ নিজ এলাকায় গিয়ে উপজেলা, ইউনিয়ন ও মহানগর পর্যায়ে দলকে সংগঠিত করব। আমরা প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না, বরং মানব সেবায় ও মানবকল্যাণে কাজ করবো। জাতীয় পার্টির লক্ষ্য মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন।”
কো-চেয়ারম্যানের এ বক্তব্য জাতীয় পার্টির সংগঠন পুনর্গঠন ও শক্তিশালীকরণের নতুন অধ্যায়ের সূচনা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
জনপ্রিয়
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...