বিজ্ঞাপন
পুলিশ জানায়, সোমবার (১১ আগস্ট) দুপুরে সুমাইয়ার সৎমাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বিচারিক আদালতে সোপর্দ করা হয়। এর আগে রোববার বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের খানপুর গ্রামের নুরবক্স চাপরাশি বাড়ি থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত সুমাইয়া একই বাড়ির সৌদি প্রবাসী ফয়সাল আহমদের মেয়ে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সুমাইয়া তার সৎমা শিউলি আক্তারের সঙ্গে উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। গত শনিবার দুপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিউলি সুমাইয়াকে মারধর করেন। পরে গোসল করিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দেন। বিকেলে সুমাইয়াকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পান এবং প্রবাসী স্বামীকে খবর দেন শিউলি। ডাক্তার এনে পরীক্ষা করলে শিশুটি আগেই মারা গেছে বলে জানান তিনি।
প্রবাসী স্বামীর পরামর্শে সৎমা সেদিন রাতেই অ্যাম্বুলেন্সে করে মরদেহ দাফনের জন্য খানপুর গ্রামে নিয়ে যান। পরদিন সকালে গোসল করানোর সময় শিশুর কানে ও গলায় আঘাতের চিহ্ন দেখে স্থানীয়রা ৯৯৯-এ কল করে পুলিশে খবর দেন।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ান বলেন, ৯৯৯-এ অভিযোগ আসে যে সুমাইয়াকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে মরদেহে আঘাতের চিহ্ন দেখে শিউলিকে গ্রেপ্তার করা হয়। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় নিহত শিশুর দাদী মারজাহান বেগম বাদী হয়ে শিউলি আক্তারের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। সোমবার আদালত আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...