প্রতিকী ছবি
বিজ্ঞাপন
একপর্যায়ে কমিটির পদ নিয়ে আমিরুল ইসলাম ও আব্দুল মতিনের মধ্যে কথা কাটা-কাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারি হয়। উক্ত মারামারির ঘটনায় উভয়পক্ষের কয়েকজন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
ঘটনার জের ধরে মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সকাল ১১ টায় লক্ষীপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে উভয়পক্ষের আনুমানিক ৩/৪ শত লোকজনের মধ্যে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মারামারি সংঘটিত হয়। এতে প্রায় অর্ধ শত আহত হয়। ঘটনার সংবাদ পেয়ে জামালগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) জয়নাল আবেদীন, এসআই পঙ্কজ ঘোষ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
সদর ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক নাজিম উদ্দীন বলেন, কমিটির নাম প্রস্তাবকে কেন্দ্র করে কামরুল ইসলাম ও আব্দুল মতিন এর মধ্যে কথা কাটাকাটির সূত্র ধরে মারামারি হয়।পরবর্তীতে উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ সহ উভয় পক্ষের সাথে কথা বলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখি। আজ উপজেলা বিএনপির সাথে আমাদের মিটিং চলাকালীন সময়ে আবারো মারামারির খবর পাই। তাৎক্ষণিক আমরা ঘটনাস্থলে পৌছি।
সদর ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক মোঃ বশির আহমদ বলেন, এবিষয়ে উপজেলা নেতৃবৃন্দ সহ কিছুক্ষণের মধ্যে বসব। পরবর্তীতে আপনাদেরকে জানানো হবে। উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য সাজ্জাদ মাহমুদ তালুকদার জানান,আমি কমিটি গঠনের সময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলাম। নাম প্রস্তাব নিয়ে আমিরুল ইসলাম ওমির ও আব্দুল মতিনের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মারামারি শুরু হয়। উপস্থিত নেতৃবৃন্দ সহ আমি তাৎক্ষণিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি। আজ আবারো উভয় পক্ষের মধ্যে মারামারি সংঘটিত হয়েছে।
উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মোঃ শফিকুর রহমান বলেন, মারামারির খবর শুনে উপজেলার নেতৃবৃন্দ সহ ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষের সাথে আলোচনা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি। উপজেলা কমিটি মারামারির বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছে। দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টায় কেউ লিপ্ত থাকার প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: শরিয়ত উল্ল্যাহ জানান, মারামারির ঘটনায় গুরতর আহত আহত ২০ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকী আহত ৩৫ জনকে জামালগঞ্জ হাসাপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
জনপ্রিয়
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...