Logo Logo

কুয়াকাটায় জেলের জালে ২৪ কেজির কোরাল


Splash Image

কুয়াকাটা মাছ বাজারে আবারও দেখা মিললো ২৪ কেজি ওজনের বিশালাকৃতির এক কোরাল মাছেের। মাছটি সুন্দরবন এলাকা থেকে ক্রয় করেন কুয়াকাটার মৎস্য ব্যবসায়ী মোঃ বশির গাজী। মাছটি বিক্রি হয় প্রায় ৩৬ হাজার টাকায়। মাছটি বাজারে নিয়ে আসলে এক নজর দেখার জন্য হৈচৈ পরে যায়।


বিজ্ঞাপন


মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সকালে কুয়াকাটা মাছ বাজারের এটি সবচেয়ে বড় মাছ বলে জানান ব্যবসায়ীরা। মাছটির ওজন হয় ২৩ কেজি ৬৫০ গ্রাম। ১ হাজার ৫২০ টাকা কেজি দরে ৩৫ হাজার ৯শ ৩৮ টাকায় মাছটি বিক্রি হয়।

ব্যবসায়ীরা জানান, এর আগে গত ১৫ আগস্ট

কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের লেম্বুরবন এলাকায় আল-আমিন মাঝি সাগরে ইলিশ ধরতে গেলে সমুদ্রে ভাসমান অবস্থায় ২৩ কেজি ওজনের একটি কোরাল মাছ পেয়েছিলেন। মাছটি এ বাজারেই ৩৪ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে মাসটির ওজন ছিল প্রায় ২২ কেজি।

গাজী ফিশের স্বত্বাধিকারী মো. বশির গাজী জানান, এমন বড় সাইজের মাছের চাহিদা অনেক বেশী। তাই আমরা উপকূলীয় এলাকার জেলে এবং বড় মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র থেকে মাছগুলো সংগ্রহ করি। আজকে সুন্দরবন থেকে এই মাছটি আমি সংগ্রহ করেছি, আশা করছি বেশ ভালো দামেই বিক্রি করতে পারবো।

ওয়াল্ডফিশ-বাংলাদেশ'র গবেষণা সহকারী বখতিয়ার রহমান বলেন, বর্ষা মৌসুমে মূলত মাছ ধরার উপযুক্ত সময়। এসময় উপকূলের নদ-নদী সহ বঙ্গোপসাগরের মোহনায় বড় সাইজের ইলিশ, কোরালসহ সামুদ্রিক বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরা পড়ে। বড় সাইজের কোরাল মাছ অনেকসময় রোগাক্রান্ত হওয়া, পেটে ব্যাথা হওয়া, মাইক্রো প্লাস্টিকের প্রভাব, পলিথিন বা প্লাস্টিক খেলে অনেকসময় ভেসে থাকে।

কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, এটি উপকূলের জেলেদের জন্য অত্যন্ত সুখবর। এমন সাইজের বড় কোরাল মাছ এর আগেও কয়েকটি ধরা পড়েছে এটি নিষেধাজ্ঞার একটি সুফল। সামুদ্রিক মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা সঠিকভাবে পালন করলে উপকূলের জেলেরা বেশ ভালো পরিমাণ মাছ পাবে বলে ধারণা করা যাচ্ছে।

-জাকারিয়া জাহিদ, কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...