Logo Logo

গোপন নথিতে ফাঁস: সৌদি-ইসরায়েল সম্পর্ক থামাতে হামলা চালায় হামাস, প্রাণ হারায় ৫৩ হাজার!


ভোরের বাণী

Splash Image

ফিলিস্তিনের গাজায় ভয়াবহ রক্তপাতের নেপথ্যে ছিল একটি কৌশলগত উদ্বেগ—ইসরায়েলের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্ক স্থাপন। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর, দখলদার ইসরায়েলের বিভিন্ন অবৈধ বসতিতে ব্যাপক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাস।


বিজ্ঞাপন


সম্প্রতি ওই হামলার পেছনের গোপন কারণ সম্পর্কে উঠে এসেছে নতুন তথ্য।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, গাজার একটি এলাকায় অভিযানের সময় ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) হামাসের অভ্যন্তরীণ বৈঠকের কিছু নথি উদ্ধার করে। সেখানে দেখা যায়, হামাসের সাবেক নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার সৌদি-ইসরায়েল সম্পর্ক স্থাপন নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন।

এক গোপন নথিতে সিনওয়ার লিখেছেন:

“কোনো সন্দেহ নেই, সৌদি ও ইহুদিবাদীদের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের কাজ খুব দ্রুত এগোচ্ছে। একবার এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে আরব ও মুসলিম বিশ্ব সৌদির পথ অনুসরণ করবে।”

সৌদি আরব, ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্র—তিন দেশই তখন দাবি করছিল, তাদের পারস্পরিক মতপার্থক্য কমে এসেছে। অর্থাৎ, সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়ার চুক্তি চূড়ান্ত পর্যায়ে ছিল।

এই পরিস্থিতিতে হামাস চেয়েছিল স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের স্বপ্নকে টিকিয়ে রাখতে। তাদের আশঙ্কা ছিল, যদি সৌদি আরব ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে, তবে আরব বিশ্ব ফিলিস্তিন ইস্যুকে উপেক্ষা করবে। তাই হামলা চালিয়ে তারা এই প্রক্রিয়াকে ধাক্কা দিতে চেয়েছিল।

আরও একটি নথি অনুযায়ী, হামাস শুধু গাজা নয়, পশ্চিম তীরেও হামলা জোরদার করার পরিকল্পনা করেছিল, যাতে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রীয় দাবি বিশ্বদৃষ্টি থেকে হারিয়ে না যায়।

এই লড়াইয়ে এখন পর্যন্ত গাজায় প্রাণ হারিয়েছে প্রায় ৫৩ হাজার মানুষ, আহত হয়েছেন আরও এক লাখের বেশি। মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যেও হামাসের এই পদক্ষেপ একটি রাজনৈতিক প্রভাব ফেলেছে।

যুদ্ধ শুরুর ৫০০তম দিনে সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান ঘোষণা দেন,

“যতদিন না গাজায় যুদ্ধ থামে এবং স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়, ততদিন ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো কূটনৈতিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করব না।”

সূত্র: ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...