Logo Logo

৩ ভাগে বিভক্ত হয়ে ফরিদপুরে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন


Splash Image

ফরিদপুরে বিএনপির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানেও প্রকাশ্যে এসেছে। সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) জেলা বিএনপির দুটি অংশ এবং মহানগর বিএনপি পৃথক সমাবেশ ও শোভাযাত্রার মাধ্যমে দলটির ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপন করেছে। তবে বিভক্ত তিনটি শোভাযাত্রাতেই উল্লেখযোগ্য জনসমাগম হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


জেলা বিএনপির এক পক্ষের নেতৃত্বে ছিলেন আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেছ আলী ইছা ও সদস্যসচিব এ কে এম কিবরিয়া স্বপন। অপরদিকে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আফজাল হোসেন খান পলাশ ও যুগ্ম আহ্বায়ক জুলফিকার হোসেন জুয়েলের নেতৃত্বে অপর একটি শোভাযাত্রা বের হয়। এ ছাড়া নগর বিএনপির ব্যানারে আলাদা শোভাযাত্রার আয়োজন করে কেন্দ্রীয় মহিলা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী নায়াবা ইউসুফ।

বিকেল ৫টার দিকে শহরের কাঠপট্টি এলাকায় জেলা বিএনপির কার্যালয় চত্বরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেছ আলী ইছা ও সদস্যসচিব এ কে এম কিবরিয়া স্বপন। সমাবেশ শেষে শোভাযাত্রাটি শহরের জনতা ব্যাংক মোড় ঘুরে আলীপুর গোলপুকুর ড্রিম চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। এতে জেলা যুবদলের সভাপতি রাজিব হোসেনসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।

অন্যদিকে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শহরের ম্যাটসের সামনে থেকে জেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আফজাল হোসেন খান পলাশ ও সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েলের নেতৃত্বে জেলা ও মহানগর বিএনপির যৌথ শোভাযাত্রা বের হয়। এটি জেলখানা মোড় হয়ে গোলপুকুর ড্রিম এলাকায় গিয়ে শেষ হয়।

একই সময়ে মহিলা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী নায়াবা ইউসুফের নেতৃত্বে মহানগর বিএনপির শোভাযাত্রা ব্রহ্মসমাজ সড়ক থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জনতা ব্যাংক মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। এর আগে নগর বিএনপির আহ্বায়ক এ এফ এম কাইয়ুম জঙ্গীর সভাপতিত্বে ও সদস্য গোলাম মোস্তফা মিরাজের সঞ্চালনায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

তিন ভাগে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপন প্রসঙ্গে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেছ আলী ইছা বলেন, “জেলা বিএনপির নামে আর কারা করেছে, সেটা আমার বোধগম্য নয়। তবে যারা করে, তারা হয়তো আওয়ামী শক্তিকে প্রতিষ্ঠিত করার সুযোগ করে দিচ্ছে।”

অন্যদিকে জেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আফজাল হোসেন খান পলাশ বলেন, “আমরাও চাই না বিভক্ত হয়ে প্রোগ্রামগুলো হোক। একত্রে হলে আমাদের শক্তি প্রদর্শন হতো। সিনিয়র নেতাদের দায়িত্ব ছিল একসঙ্গে আয়োজন করা।”

এদিকে ফরিদপুরে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেওয়ার কথা ছিল কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও ফরিদপুর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত পুনর্গঠন টিমের প্রধান আসাদুজ্জামান রিপনের। তবে তিনি কোনো কর্মসূচিতেই যোগ দেননি।

জেলা বিএনপির সদস্যসচিব এ কে এম কিবরিয়া এ প্রসঙ্গে বলেন, “ফরিদপুরের কর্মসূচিতে আসাদুজ্জামান সাহেবের অংশ নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি কেন এলেন না, তা আমাদের জানা নেই। এমনকি তিনি আসবেন না সেটাও আমাদের জানানো হয়নি।”

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...