বিজ্ঞাপন
আজ (বৃহস্পতিবার) রাজধানীর ধানমন্ডিতে টিআইবির কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব মন্তব্য করেন। ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “অর্থপাচার কমেছে কি না, সেটা বলা যাবে না। তবে ব্যাংকিং সেক্টরে আগের ঢালাও ঋণ ও জালিয়াতির মাধ্যমে পাচারের সুযোগগুলো বন্ধ হয়েছে। এ ক্ষেত্রে জড়িত কিছু অ্যাক্টর দেশের বাইরে বা বিচারের মুখোমুখি আছেন।”
তিনি আরও জানান, বিদেশে কর্মরত অভিবাসী কর্মীদের মাধ্যমে কিছু অর্থপাচার হতো। তবে বর্তমানে এই প্রক্রিয়া মোটামুটি নিয়ন্ত্রিত হয়েছে। “আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে চালান জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থপাচার এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রিত নয়। তবে কিছু সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা বাস্তবায়িত হলে ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণ সম্ভব,” বলেন তিনি।
ইফতেখারুজ্জামান জোর দিয়ে বলেন, “দেশ থেকে অর্থপাচার প্রতিরোধ করা আমাদের প্রধান অগ্রাধিকার হওয়া উচিত। একবার পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনা অত্যন্ত কঠিন। ফ্রিজ করা মানে টাকাটা আমাদের হাতে আসবে না, কারণ সেটিকে প্রমাণ করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “যেসব ব্যক্তিরা অর্থপাচার করে, তারা লন্ডন, কানাডা বা দুবাইয়ে টাকা লগ্নি করতে পারে, যদি আমাদের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা শক্ত না হয়। এই সুযোগ বন্ধ করতে আমাদের হাতে কিছু হাতিয়ার আছে, যা আরও কার্যকরভাবে প্রয়োগ করতে হবে।”
টিআইবি পরিচালকের এই বক্তব্য দেশের অর্থপাচার রোধে ব্যাংকিং এবং আইন প্রয়োগে আরও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার প্রমাণ দেয়।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...