ছবি : সংগৃহিত
বিজ্ঞাপন
আনজুমানে রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট আয়োজিত বর্ণাঢ্য এই জশনে জুলুসে নেতৃত্ব দিচ্ছেন পাকিস্তান থেকে আগত দরবারে সিরিকোটের সাজ্জাদানশিন পীর আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ সাবির শাহ (ম জি আ)। সঙ্গে আছেন সাহেবজাদা হজরত সৈয়দ মুহাম্মদ কাসেম শাহ (ম জি আ), সৈয়দ মুহাম্মদ মেহমুদ আহমদ শাহ (ম জি আ) ও আনজুমান ট্রাস্টের সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন। ঐতিহ্যবাহী জুলুসকে ঘিরে জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে পুরো বন্দরনগরী চট্টগ্রাম।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় চট্টগ্রামের জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদরাসা সংলগ্ন আলমগীর খানকা থেকে জুলুস শুরু হয়। লাখ লাখ মানুষের এই জুলুসটি নগরীর বিবিরহাট, মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, দুই নম্বর গেইট, জিইসি হয়ে আবার জামেয়া চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
হামদ, নাতে রাসূল, দরুদ ও স্লোগানে চট্টগ্রাম মহানগরী ও জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে নবী প্রেমি ধর্মপ্রাণ মানুষ এই জুলুসে অংশ গ্রহণ করেছেন।
এবারের জুলুসে জাতীয় পতাকা, আনজুমান ট্রাস্টের পতাকা ছাড়া অন্য কোনো পতাকা, ড্রাম সেট, নারীর অংশগ্রহণ এবং খাবার নিক্ষেপ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ফলে লাখো মানুষের হাতে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা এবং আঞ্জুমান ট্রাস্টের পতাকা লক্ষ্য করা গেছে। নগরীর বিভিন্নস্থানে শরবত ও পাণীয় দিয়ে জুলুসে অংশগ্রহণকারীদের তৃষ্ণা মিটাতে দেখা গেছে অনেক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে।
জুলুস শেষে মাহফিল, জোহর নামাজ ও দেশ জাতির সমৃদ্ধি কামনায় মোনাজাত করা হবে।
জুলুসের সার্বিক শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার জন্য চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ প্রয়োজনীয় নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে। এছাড়া আয়োজক আঞ্জুমান ট্রাস্টের উদ্যোগেও ছিলো বিপুল সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক। ফলে শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে ৫৪ বছরের ঐতিহ্যবাহী জশনে জুলুস।
প্রসঙ্গত চট্টগ্রামে জশনে জুলুসের প্রবর্তন হয়েছে ১৯৭৪ সালের ১২ রবিউল আউয়াল। দরবারে আলিয়া কাদেরিয়া সিরিকোট শরিফের (পাকিস্তান) তৎকালীন সাজ্জাদানশীন, আধ্যাত্মিক সাধক, আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ্ (রা.) এ জশনে জুলুসের প্রবর্তন করেন। জুলুসের মধ্য দিয়ে প্রিয় নবীজীর প্রতি সম্মান ও বিশ্বশান্তির বার্তা দেওয়া হয়।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...