ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “ক্যালেন্ডার অনুযায়ী প্রতি বছর নির্দিষ্ট সময়ে পরীক্ষা ও নিয়োগ সম্পন্ন করতে হবে। বিসিএস পরীক্ষা হলো ‘এন্ট্রি পয়েন্ট’। যারা এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবে, তারাই সরকার চালাবে। কাজেই এন্ট্রি পয়েন্টে যদি কোনো ধরনের অনিয়ম হয়, তাহলে গোটা সিস্টেমে সেটার প্রভাব থেকে যাবে।”
তিনি আরও বলেন, “সমস্যা ও সংকট যেগুলো আছে, দায়িত্ব নিয়ে সেগুলো সমাধান করে ফেলতে হবে। প্রয়োজনীয় সংস্কারের জন্য সবাই মিলে চেষ্টা করতে হবে। যারা ভবিষ্যতে সরকার চালাবে, তাদের জন্যও এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
বৈঠকে সরকারি কর্ম কমিশনের আর্থিক ও প্রশাসনিক স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার বিষয়েও আলোচনা করা হয়। কমিশন চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোবাশ্বের মোনেম জানান, কমিশন ইতিমধ্যে আগামী পাঁচ বছরের জন্য রোডম্যাপ নির্ধারণ করেছে। এর ভিত্তিতে প্রতিবছর নভেম্বর থেকে পরের বছরের অক্টোবরের মধ্যে পরীক্ষা ও নিয়োগ সম্পন্ন করা হবে।
বৈঠকে কমিশনের সদস্যরা উল্লেখ করেন, গত ১৫ বছরে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কারণে বিসিএস পরীক্ষায় বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি এবং প্রশ্নফাঁসের ঘটনা ঘটেছে। পিএসসিতে যেন আর কখনো অনিয়ম ফিরে না আসে, সেই লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে। পাশাপাশি পরীক্ষার মান উন্নীত করা হচ্ছে, যাতে প্রস্তুতি নিয়ে চাকরিপ্রত্যাশীরা বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায়ও অংশ নিতে সক্ষম হন।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোবাশ্বের মোনেম, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজউদ্দিন মিয়া এবং পিএসসি সদস্যরা মো. সুজায়েত উল্যা, মো. জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া, অধ্যাপক ড. এম সোহেল রহমান, অধ্যাপক ড. চৌধুরী সায়মা ফেরদৌস, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. শাহনাজ সরকার ও বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন সচিবালয়ের সচিব ড. মো. সানোয়ার জাহান ভূঁইয়া।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...