ভোরের বাণী
বিজ্ঞাপন
ভালোবাসা নয়, সংসার নয়—উদ্দেশ্য ছিল পুরুষদের বিয়ে করে তাদের অর্থ ও সম্পদ হাতিয়ে নেওয়া। পুলিশ বলছে, মাত্র ২৩ বছর বয়সেই তিনি ২৫টি বিয়ে করেছেন, আর প্রতিটি বিয়ের পেছনে ছিল শিকারের খোঁজে অভিনব পরিকল্পনা।
সম্প্রতি ভারতের ইংরেজি দৈনিক দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, রাজস্থানের সোয়াই মাধোপুর জেলার বিষ্ণু শর্মা নামের এক যুবকের অভিযোগের ভিত্তিতে অনুরাধাকে গত ১৮ মে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযোগকারী বিষ্ণু শর্মা অনুরাধার সর্বশেষ শিকার। ২০ এপ্রিল তার সঙ্গে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন অনুরাধা। তবে বিয়ের দুই সপ্তাহ না যেতেই নগদ টাকা, সোনাদানা ও মোবাইল নিয়ে উধাও হন তিনি।
পুলিশ জানিয়েছে, অনুরাধা একা নন, বরং তার পেছনে রয়েছে একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র। এই চক্রের মূলহোতা নিজেই অনুরাধা। বিভিন্ন শহরে নতুন পরিচয়ে বাসা ভাড়া নিয়ে নিজেকে ‘অসহায় গরিব কনে’ হিসেবে উপস্থাপন করতেন তিনি। জীবনসংগ্রামের করুণ কাহিনি শুনিয়ে সহজ-সরল যুবকদের প্রেমের ফাঁদে ফেলতেন।
বিয়ের পর পরিবারকে আপন করে নেওয়ার জন্য কয়েকদিন শ্বশুরবাড়িতে অবস্থান করতেন। এরপর পরিকল্পনা অনুযায়ী খাবার বা পানীয়র সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হতো ঘুমের ওষুধ। সবাই অচেতন হলে চক্রের সদস্যদের সহায়তায় লুটে নেওয়া হতো নগদ অর্থ, গয়না ও মূল্যবান জিনিসপত্র। তারপর শুরু হতো গা-ঢাকা দেওয়া পর্ব।
অনুরাধার প্রতারণার পদ্ধতি এতটাই পেশাদার ছিল যে, তার দলের সদস্যরা বিভিন্ন জায়গায় তার ছবি ও জীবনকাহিনি পাত্রদের পরিবারে পৌঁছে দিতেন। এমনকি বিয়ের ব্যবস্থাও তারাই করতেন।
বর্তমানে অনুরাধা পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, তার চক্রের অন্যান্য সদস্যদের খোঁজে অভিযান চলছে। অনুরাধার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে বিভিন্ন থানায়।
এই ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন—কীভাবে একজন নারী এতো বার বিয়ে করে প্রতারণা করেও এতদিন ধরা-ছোঁয়ার বাইরে রইলেন?