বিজ্ঞাপন
সোমবার (৬ অক্টোবর) সকাল ৮টার দিকে উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের রামকান্তপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুটি পক্ষ সক্রিয়। একটি পক্ষের নেতৃত্বে আছেন ওসমান তালুকদার, আর অন্য পক্ষের নেতৃত্বে আছেন কুদ্দুস তালুকদার।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, তিন দিন আগে রামকান্তপুর গ্রামের একটি বাজারে কেরাম বোর্ড খেলা নিয়ে স্থানীয় ওসমান তালুকদারের সমর্থক রাকিব এবং প্রতিপক্ষ কুদ্দুস তালুকদারের সমর্থক লায়েকের মধ্যে মারামারি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে কেরাম বোর্ড জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়। তবে ওই ঘটনার জের ধরে সোমবার সকালে স্থানীয় একটি চায়ের দোকানে দুই পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটি ও হাতাহাতি শুরু হয়।
পরবর্তীতে উভয় পক্ষের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র—ঢাল, কাতরা, টেটা, সড়কি, ভেলা ও ইটপাটকেল ব্যবহার করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে চলা সংঘর্ষে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, মারধর এবং বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। বিশেষ করে চারটি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়। এতে অন্তত ১৯ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে ১০ জনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে, বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে সালথা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান জানান, “সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...