বিজ্ঞাপন
আহত ফরিদ শেখ (৩৭) ফরিদপুর মহানগর কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তিনি ফরিদপুর সদরের বৈঠাখালী মহল্লার মো. মান্নান শেখের ছেলে। ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক কর্মকর্তা গণেশ কুমার আগরওয়ালা জানান, আহত ফরিদ শেখকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে এবং তিনি শঙ্কামুক্ত।
আহত ফরিদের স্ত্রী জুঁই বেগম বলেন, “পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য আমরা বিকেলে একটি মাইক্রোবাসে যাচ্ছিলাম। পথে ধুলদি বাজার এলাকায় পৌঁছালে ফিরোজ শেখসহ কয়েকজন তাঁকে ডেকে একটি চায়ের দোকানে নিয়ে যান। এরপর লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়। এতে ফরিদের মাথা ফেটে যায়।”
স্থানীয় সূত্র জানায়, ফিরোজ শেখ ফরিদপুর মহানগর কৃষক দলের সহক্রীড়া সম্পাদক। তিনি মাচ্চর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সরোয়ার শেখের ছেলে। গত শনিবার ফরিদ শেখ তাঁর ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্টে মহানগর কৃষক দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে জানাতে চেয়েছিলেন, ‘ফিরোজ শেখকে এলাকায় বা ফরিদপুরে কোনো আন্দোলনে দেখা যায়নি। তাহলে ফিরোজ শেখ কীভাবে মহানগর কৃষক দলের সম্পাদক হলেন?’
মহানগর কৃষক দলের সভাপতি মো. মামুন অর রশিদ এ ঘটনায় বলেন, “স্থানীয় বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। ফরিদপুর মহানগর কমিটি অন্তত দুই বছর আগে ঘোষণা করা হয়েছে। ঘোষিত সময় থেকেই ফিরোজ এই কমিটির সহক্রীড়া সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ফরিদ গত দুই বছর কোনো অভিযোগ করেননি। দুই দিন আগে ফরোজকে নিয়ে ফরিদের পোস্ট আমি দেখেছি। ফিরোজ একজন নিবেদিত নেতা। আন্দোলন–সংগ্রামে তিনি সব সময় পাশে ছিলেন।”
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদউজ্জামান জানান, “শুনেছি, ধুলদি এলাকায় মারামারি হয়েছে। একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। এ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।”
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...