বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, “দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে আমি স্বস্তিতে রয়েছি। সে জন্য আমরা মোটামুটি একটু আত্মবিশ্বাসী।”
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমাদের বেসটাই তো খারাপ ছিল। আমরা এটাকে নামিয়ে আনা খুব ডিফিকাল্ট ছিল, তবুও আমরা নামাতে সক্ষম হয়েছি। এই জন্য আমরা এখনো ফুড এবং নন-ফুড খাতে মূল্যস্ফীতি কমানোর চেষ্টা চালাচ্ছি। নন-ফুডের ক্ষেত্রে যেমন বাস ভাড়া, ট্রান্সপোর্ট, এনার্জি ও ইলেকট্রিসিটি বিষয়গুলো কিছুটা ডিফিকাল্ট।”
দক্ষিণ এশিয়ার তুলনায় বাংলাদেশের অবস্থার প্রশ্নে তিনি জানান, “বেসটা যখন বড় ছিল ১১-১৪, তখন আমরা তা নামিয়ে ৮-এ এনেছি। যদি ৭-এ নামাতে পারতাম, সবাই মহানন্দ হতো। তবে আমাদের জন্য প্রাথমিক অবস্থার তুলনায় অনেক কিছুই অর্জনযোগ্য হয়েছে।”
আমেরিকার শুল্ক কার্যকর হওয়া নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “শুল্ক ইতিমধ্যেই কার্যকর। যে সিলিং দেওয়া হয়েছে, তা ইতিমধ্যেই প্রভাব ফেলেছে। মোটামুটি চার বিলিয়ন ডলার আমরা দেখিয়ে দিয়েছি।”
নতুন পে স্কেল নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, “সেটা পরে একসময় আমি দেখবো। যাওয়ার আগে একসময় আমি বলবো।”
এবার নির্বাচনের জন্য ৪২০ কোটি টাকা দিয়ে বডি ক্যামেরা কেনার বিষয়ে তিনি বলেন, “আপনার সেটা পরে বুঝতে পারবেন।”
বিশ্বব্যাংকের সম্প্রতি প্রকাশিত প্রতিবেদনে দারিদ্র্যের হার বৃদ্ধির বিষয়টি উল্লেখ করা হলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “আমি তাত্ত্বিক দিকে এখন যাবো না। দারিদ্র্য আছে, তবে প্রকৃতপক্ষে তা মাপার জন্য যথেষ্ট পদ্ধতি রয়েছে। অমর্ত্য সেন একবার বলেছিলেন—খুব কঠিন দারিদ্র্য আমার মেজার করতে হবে না, দরিদ্র লোক দেখলেই চিনতে পারবেন তার চেহারা ও আচরণ।”
চীনা মূল্যে ২০টি ফাইটার জাহাজ কেনা নিয়ে তিনি বলেন, “সেটা ব্যাপারে আমি কোনো মন্তব্য করবো না। জানলেই কি সবকিছু বলতে হবে? আমাদের অর্থের সংস্থান বিষয়টিতে আমরা সীমিত।”
ওয়াশিংটনে আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে সম্ভাব্য আলোচনার বিষয়ে তিনি বলেন, “আইএমএফ’র পাইপলাইনে আরও টাকা আছে। বাকি এডিবি, এআইডিবি, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক-এর সঙ্গে দুইটি অ্যাগ্রিমেন্ট সই হবে। অন্যান্য বিষয়গুলো এবার খুব ওপেনলি আলোচনা হবে না, নতুন সরকার আসার পর তারা মেজর ডিসিশন নেবে।”
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...