Logo Logo

ভাঙা প্যান্ডেলের নিচে দাঁড়িয়েই অনুদান বিতরণ করলেন এ কে আজাদ


Splash Image

ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও রাজনীতিবিদ এ কে আজাদ বলেছেন, “আমার অনুদান বিতরণের প্যান্ডেল ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তবু আমি সেই ভাঙা প্যান্ডেলের নিচেই রোদে দাঁড়িয়ে চরবাসীদের সঙ্গে অনুষ্ঠান সম্পন্ন করেছি। এতে আমাদের কষ্ট হয়েছে, কিন্তু কারো উপকার হয়নি।”


বিজ্ঞাপন


শনিবার (১১ অক্টোবর) দুপুর দেড়টার দিকে ফরিদপুরের নর্থচ্যানেল ইউনিয়নের কবিরপুর খেয়াঘাট এলাকায় নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মধ্যে অনুদান বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এ কে আজাদ বলেন, “আমি নির্বাচনে অংশ নেব কি না, এখনও সিদ্ধান্ত নিইনি। তবে মানুষ জেদ করলে অনেক কিছু করে বসে। আমাকে প্রতিপক্ষ বানাবেন না। আমি অনেক বড় বড় জনের সঙ্গে লড়াই করে আজকের অবস্থানে এসেছি। হুমকি-ধমকি দিয়ে এমন সামাজিক কাজকে যারা বাধা দিতে চান, তাদের বলছি— আমাকে নির্বাচনে নামতে বাধ্য করবেন না। আমি এখনও আপনাদের প্রতিপক্ষ নই, আমি আপনাদেরই একজন। সবাই মিলে মানুষের জন্য কাজ করতে চাই।”

অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেন স্থানীয় চরবাসীরা। এ কে আজাদের এপিএস অমিত ঘোষ জানান, নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত ১৭২টি পরিবারের প্রত্যেককে দুই হাজার টাকা করে অনুদান প্রদান করা হয়। তিনি আরও বলেন, “অনুষ্ঠান উপলক্ষে শুক্রবার বিকেলে একটি প্যান্ডেল তৈরি করে শামিয়ানা টানানো হয়েছিল। কিন্তু রাতে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা প্যান্ডেল ভেঙে ফেলে এবং শামিয়ানা নিয়ে যায়। পরে শনিবার দুপুরে সেই ভাঙা প্যান্ডেলেই অনুদান বিতরণ করা হয় এবং এ কে আজাদ এলাকাবাসীর সঙ্গে মতবিনিময় করেন।”

চরবাসীর দুর্ভোগের কথা তুলে ধরে এ কে আজাদ বলেন, “এই অঞ্চলের সবচেয়ে বড় সমস্যা নদীভাঙন। আমি এই এলাকার সন্তান, তাই মানুষের দুঃখ-কষ্ট ভালোভাবেই জানি।” তিনি অভিযোগ করেন, “নদীভাঙনের অন্যতম কারণ হলো নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন। প্রভাবশালীরা এখনো রাতের আঁধারে বালু তুলে নিচ্ছেন। তাদের রোধ না করলে নদীভাঙন থামবে না।”

বালু ব্যবসায় জড়িত চক্রের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, “আড়াই টাকায় প্রতি ঘনফুট বালু তুলে ৬ টাকায় বিক্রি করা হয়। কোটি কোটি ঘনফুট বালু উত্তোলনের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার ভাগ-বাটোয়ারা হচ্ছে। কারা এই টাকার ভাগ পান, তা আমরা জানি। তবে এখন নির্বাচন সামনে, তাই নাম বললে তারা লজ্জায় ভোট চাইতে পারবেন না।”

চরবাসীকে আশ্বাস দিয়ে এ কে আজাদ বলেন, “পদ্মা নদীর ভাঙন থেকে ফরিদপুরের চরাঞ্চল রক্ষায় সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব।”

দিনব্যাপী তিনি নর্থচ্যানেল ইউনিয়নের কবিরপুর, ইউসুফ মাতুব্বরের ডাঙ্গি ও জয়নাল মাতুব্বরের ডাঙ্গি এলাকার নদীভাঙনকবলিত স্থান পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত ২৫৫টি পরিবারের মধ্যে মোট ৫ লাখ ১০ হাজার টাকা অনুদান বিতরণ করেন।

অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন— হা-মীম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোতালেব হোসেন, পরিচালক বেলাল হোসেন, শিক্ষক নেতা আক্কাস হোসেন, আলীয়াবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক, এনজিও ব্যক্তিত্ব বিএম আলাউদ্দিন এবং ইউপি সদস্য সালমা বেগম প্রমুখ।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...