হামলাকারী আসিফ বিশ্বাস, ইমন বিশ্বাস বাবু ও মোস্তাফিজুর রহমান রাব্বি।
বিজ্ঞাপন
রোববার (১২ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের চানপুর জটা ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ব্যবসায়ী রাইসুল শেখ জিয়া অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় বিএনপি নেতা নুরুজ্জামান চৌধুরী পঙ্কজের ভাতিজা ইমন বিশ্বাস বাবু ও আসিফ বিশ্বাসের নেতৃত্বে মিন্টু বিশ্বাস, মোস্তাফিজুর রহমান রাব্বি, আতিক শেখ, হৃদয় শেখসহ ১০-১২ জন সশস্ত্র ব্যক্তি তাঁর বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় তারা বাড়ির বারান্দা, টিনের বেড়া ও গ্রিল ভেঙে ফেলে। পরে ঘরের তালা ভেঙে এফজেড ১৫০ সিসি ও জিএক্সআর এসএফ ১৫০ সিসির দুটি মোটরসাইকেল এবং ৩০ হাজার টাকা নিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, বাধা দিতে গেলে হামলাকারীরা তাঁর মা ও ভাবিকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে। জিয়ার দাবি, তাঁরা ফরিদপুরের সাবেক স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য এ. কে. আজাদের সমর্থক হওয়ায় এই হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা ওই সময় এ. কে. আজাদকে নিয়ে কটূক্তি করে এবং তাঁর সভা-মিছিলে গেলে ‘দেখে নেবে’ বলে হুমকি দেয়।
ভুক্তভোগীর ব্যবসায়িক সহযোগী মালটার বাগান ব্যবসায়ী ইলিয়াস শেখ জানান, তিনি জিয়ার বাড়িতে মালটা মেপে বস্তায় ভরছিলেন। হঠাৎ তিন-চারজন এসে গালাগাল ও মারধর শুরু করে। মাটিতে পড়ে গেলেও তাঁকে নির্যাতন করা হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই আরও ১০-১২ জন লাঠিসোটা হাতে বাড়িতে হামলা চালায়। ইলিয়াসের ভাষায়, “তারা বলেছিল—এ. কে. আজাদের রাজনীতি করলে মজা দেখিয়ে দেবে।”
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা নুরুজ্জামান চৌধুরী পঙ্কজ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমার ভাতিজারা বাড়ির পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। তখন বাড়ির চেয়ারে বসা কয়েকজন আসিফের উদ্দেশে উসকানিমূলক কথা বলে। এরপর দুপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। কিন্তু হামলা, মারধর বা লুটপাটের কোনো ঘটনা ঘটেনি।”
তিনি আরও দাবি করেন, “অভিযোগকারীরা আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম মজনুর অনুসারী। তারা বহিরাগত এনে এলাকায় মহড়া দেয়।”
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান বলেন, “ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...