বিজ্ঞাপন
এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ফিরতি লেগে স্বাগতিক হংকংয়ের বিপক্ষে প্রথমার্ধেই চাপে পড়ে গেছে বাংলাদেশ। ম্যাচের ৩২তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল হজম করে ১-০ গোলে পিছিয়ে পড়েছে হামজা মিয়া নেতৃত্বাধীন লাল-সবুজের দল। তবে খেলার গতি ও মনোবল দেখে আশা ছাড়েনি বাংলাদেশের সমর্থকরা।
হংকংয়ের ৫০ হাজার দর্শকের সামনে ম্যাচের শুরুটা ভালোই করেছিল বাংলাদেশ। পরিকল্পিত ডিফেন্স ও দ্রুত পাল্টা আক্রমণে এগিয়ে ছিল তারা। তবে ৩২ মিনিটে ঘটে যায় বিপত্তি। হংকংয়ের ফরোয়ার্ড ফার্নান্দোকে পেছন থেকে ফাউল করেন বাংলাদেশি নির্ভরযোগ্য ডিফেন্ডার তারিক কাজী। জাপানি রেফারি সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়ে তাকে হলুদ কার্ড দেখান। সেই সুযোগে ম্যাথিউ নির্ভুল শটে গোল করে এগিয়ে দেন হংকংকে।
তারিক কাজীর ফাউলটিকে অনেকেই "নিষ্প্রয়োজনীয়" বলে মনে করছেন। কারণ তখন ফার্নান্দো গোলবার থেকে দূরে ছিলেন, যেখানে স্বাভাবিক ট্যাকলে বল দখলের সুযোগ ছিল। নিজের ভুল বুঝতে পেরে মাঠেই দুই হাত জোড় করে দুঃখ প্রকাশ করেন তারিক। সেই ভুলের খেসারতই দিতে হয়েছে বাংলাদেশকে।
তবুও মাঝমাঠে নিরলস লড়াই করে যাচ্ছেন হামজা মিয়া। দূর থেকে ডিফেন্সে এসে ট্যাকল করা, আবার দ্রুত উঠে আক্রমণে যোগ দেওয়া—সবকিছুতেই সক্রিয় তিনি। প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে হামজার বাড়ানো এক বল থেকে গোলের সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সেটি কাজে লাগাতে পারেননি ফরোয়ার্ডরা। ফলে ০-১ গোলের ব্যবধানেই বিরতিতে যায় লাল-সবুজরা।
আজ একাদশে নতুন মুখ হিসেবে সুযোগ পেয়েছেন তরুণ জায়ান আহমেদ। রক্ষণভাগে দায়িত্বশীল খেলা উপহার দিচ্ছেন তিনি। যদিও এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়কে ট্যাকল করতে গিয়ে ফাউল করায় তাকেও দেখানো হয় হলুদ কার্ড।
বাংলাদেশ এখনো ম্যাচে বেঁচে আছে—এমনটাই আশা করছেন সমর্থকরা। দ্বিতীয়ার্ধে যদি হামজা ও তার সহযোদ্ধারা সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারেন, তাহলে ফিরতি লেগেও পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ার সুযোগ রয়েছে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...