বিজ্ঞাপন
এর আগে বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটে ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যোগ দেন। বিকেল ৪টা ৩৭ মিনিটে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যরা। অনুষ্ঠানটি দেশের গণতান্ত্রিক সংস্কারের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
গত বছরের আগস্টে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়। প্রথম ধাপে গঠন করা হয় ৬টি প্রধান সংস্কার কমিশন – সংবিধান, নির্বাচনব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, দুর্নীতি দমন, পুলিশ ও বিচার বিভাগ। কমিশনগুলো তাদের প্রস্তাবনা নিয়ে দলগুলোর সঙ্গে কয়েক দফা আলোচনা করে। ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত আলোচনায় মোট ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাবে রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছায়। এরপর এই প্রস্তাবগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করে জুলাই সনদের খসড়া তৈরি করা হয় এবং বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে চূড়ান্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সব দলের মতামত পর্যালোচনা করে লিখিতভাবে চূড়ান্ত সনদ তৈরি করে। গত মঙ্গলবার সনদের চূড়ান্ত কপি সব রাজনৈতিক দলকে বিতরণ করা হয়। আজ রাজনৈতিক দলগুলো ঐতিহাসিকভাবে এই সনদে স্বাক্ষর সম্পন্ন করেছে।
এদিকে, অনুষ্ঠানের আগে সকাল থেকে সংসদ ভবন এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়। জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ছাত্র-জনতাকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি এবং তাদের বীর হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের দাবিতে আন্দোলনকারীরা অবস্থান নেন। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ তাদের সরে যাওয়ার আহ্বান জানান, কিন্তু আন্দোলনকারীরা তাদের অবস্থান বজায় রাখেন। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের সরিয়ে দিলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া পরিস্থিতি তৈরি হয়। শেষ পর্যন্ত কমিশন তাদের দাবি মেনে সনদের অঙ্গীকারনামার ৫ নম্বর দফা সংশোধন করে।
এই স্বাক্ষর অনুষ্ঠান দেশের রাজনৈতিক ঐক্য এবং গণতান্ত্রিক সংস্কারের ক্ষেত্রে এক মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...