বিজ্ঞাপন
তবে দীর্ঘ সময় ধরে মাছ শিকারে নিয়োজিত থাকার পরও কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া যায়নি। এই নিয়ে হতাশ হয়ে ঘরে ফেরেন উৎসুক অংশগ্রহণকারীরা।
স্থানীয় জেলেরা অভিযোগ করেছেন, একবছর পর পানি ছাড়ার পরও মাছ পাওয়া যায়নি। তাঁদের দাবি, “মাছ তো একবছর আগে মৎস্য বিভাগ পোনার আকারে ছাড়েছিল। কিন্তু পানি ছেড়ে দেয়ার পর পর্যাপ্ত নজরদারি না থাকায় কিছু অসাধু ব্যক্তি রিংজাল ব্যবহার করে মাছ ধরে নিয়েছে। এই কারণে দেশীয় প্রজাতির মাছের সংখ্যা কমে গেছে। ফলে, এই জলাশয়ে কয়েক বছর ধরেই পর্যাপ্ত মাছ পাওয়া যাচ্ছে না।”
বুড়ির বাঁধটি ১৯৫১-৫২ সালের দিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে সদর উপজেলার আকচা ও চিলারং ইউনিয়নের সীমানায় শুক নদীতে নির্মিত হয়। শুষ্ক মৌসুমে কৃষি জমির সেচ সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য বাঁধটি তৈরি হলেও, প্রতিবছর মৎস্য অধিদপ্তর এখানে বিভিন্ন জাতের মাছের পোনা ছাড়ে। বাঁধের পানি ছাড়ার সময়টিকে কেন্দ্র করে স্থানীয় মানুষজন মাছ শিকারে অংশগ্রহণ করে, যা এক ধরনের স্থানীয় উৎসবের রূপ নেয়।
মাছ ধরা উৎসবের সময় বাঁধের আশপাশে মণ্ডা-মিঠাইয়ের দোকান বসে, যা উৎসবকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে।
সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ খাইরুল ইসলাম এই প্রসঙ্গে জানান, “জলাশয়ে মাছ ছাড়ার পর কিছু অসাধু ব্যক্তি রিংজাল ব্যবহার করে মাছ ধরে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকবার অভিযান চালিয়ে জাল জব্দ করে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। তবে শুধুমাত্র প্রশাসনিক তৎপরতাই যথেষ্ট নয়, স্থানীয়দেরও ভূমিকা পালন করতে হবে। তাহলেই মাছ ধরা উৎসব সফল হতে পারবে।”
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...