ছবি : এআই
বিজ্ঞাপন
মাহবুব কবির মিলন তার পোস্টে উল্লেখ করেন, কয়েক বছর আগে সারা বাংলাদেশ থেকে সংগৃহীত ১,৫২১টি সয়াবিন ও পাম তেলের নমুনা পরীক্ষা করে এই ভয়ঙ্কর তথ্য পাওয়া যায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নাজমা শাহীনের নেতৃত্বে পরিচালিত এই গবেষণার ফলাফল গত বছর একটি জার্নালে প্রকাশিতও হয়। গবেষণায় দেখা যায়, এসব তেলে উপস্থিত মার্কারির মাত্রা মানুষের শরীরের জন্য নির্ধারিত সহনীয় মাত্রার চেয়ে অনেক বেশি, যা মানবদেহের স্নায়ুতন্ত্র, কিডনি এবং হৃদযন্ত্রের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
তিনি তার পোস্টে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে দায়িত্বরত প্রতিষ্ঠানগুলোর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তার মতে, এমন একটি জনগুরুত্বপূর্ণ গবেষণার ফল প্রকাশের পরেও বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) বা বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের মতো সরকারি সংস্থাগুলো কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। তিনি অভিযোগ করেন, ব্যবসায়ী সংগঠনের স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যকে ঝুঁকির মুখে ফেলে দেওয়া হচ্ছে।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে তরুণদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাক এবং কিডনি রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধির পেছনে ভোজ্যতেলে থাকা এই বিষাক্ত মার্কারি একটি বড় কারণ হতে পারে বলেও তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন। তিনি জানান, কয়েক মাস আগে তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে বিএসটিআইকে চিঠি দিয়ে ভোজ্যতেল পরিশোধন প্রক্রিয়া পরিবর্তনের অনুরোধ করেছিলেন। চিঠিতে তিনি সিনথেটিক ক্লে'র পরিবর্তে 'আর্থ গ্রেড ক্লে' ব্যবহার বাধ্যতামূলক করার এবং তেলে হেভি মেটালের মাত্রা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব দেন, যা আগে কখনও করা হয়নি।
বাংলাদেশে খাদ্যে ভেজাল এবং ক্ষতিকর রাসায়নিকের ব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ দীর্ঘদিনের। বিভিন্ন সময়ে ভোজ্যতেল, মসলা, ফলসহ নানা খাদ্যদ্রব্যে ক্ষতিকর উপাদান পাওয়ার খবর প্রকাশিত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে একজন সাবেক উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তার এই ফেসবুক পোস্ট সাধারণ ভোক্তাদের মধ্যে খাদ্য নিরাপত্তা এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিয়ে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...