বিজ্ঞাপন
সরেজমিনে দেখা গেছে, গত বছর বীজ আলুর দাম বাড়তি থাকলেও চলতি মৌসুমে হিমাগারগুলোতে নেই সেই ভিড়। বাজারে আলুর চাহিদা না থাকায় ও কৃষকেরা আগের মতো আলু চাষে আগ্রহী না হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।
হিমাগারে মজুদ রাখা একাধিক আলু ব্যবসায়ী দৈনিক ভোরের বাণী-এর জেলা প্রতিনিধিকে জানান, “আমাদের ব্যবসা একেবারেই শেষ। এখনকার বাজার দরে আলু বিক্রি করেও বস্তার দাম উঠছে না। এতে পরবর্তী মৌসুমে ব্যবসা টিকিয়ে রাখাই কষ্টকর হয়ে পড়বে।”
সদর উপজেলার আলু চাষি আব্দুল আজিজ বলেন, “গত বছর আমি ১৫ বিঘা জমিতে আলু চাষ করি। কিছু আলু বিক্রি করলেও একশোরও বেশি বীজ আলু হিমাগারে রেখেছিলাম। এখন দাম পড়ে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছি।” তিনি আরও জানান, “হিমাগার ভাড়া, পরিবহন ও অন্যান্য খরচের সঙ্গে হিসাব মেলালে এখন বীজ আলু বিক্রি করলে বড় লোকসান গুনতে হচ্ছে।”
স্থানীয় কৃষি বিভাগের একাধিক কর্মকর্তারা জানান, এ মৌসুমে শীতকালীন বিভিন্ন শাকসবজি—যেমন ফুলকপি, বাঁধাকপি ও লাউসহ নানা ফসলের উৎপাদন ভালো হওয়ায় বাজারে আলুর চাহিদা কিছুটা কমে গেছে। এতে আলুর বাজারে সরাসরি প্রভাব পড়েছে।
এদিকে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা আশঙ্কা করছেন, যদি আগামী এক-দুই মাসে আলুর বাজারে ইতিবাচক পরিবর্তন না আসে, তবে পরবর্তী মৌসুমে নীলফামারীর আলু চাষে বড় ধরনের সংকট দেখা দিতে পারে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...